সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ। ১৯৮১ সালের ৩০ মে ভোরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে কিছু সেনা সদস্যের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন তিনি। এরপর থেকে বিএনপি ও সমমনা দল এবং অঙ্গসংগঠনগুলো দিনটিকে জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী হিসাবে পালন করে আসছে।
গেলো সোমবার (২৯ মে) আলোচনাসভার মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এবার নানা আয়োজনে দিবসটি পালন করবে বিএনপি। কেন্দ্রীয়ভাবে ঘোষণা করা হয়েছে ১৩ দিনের কর্মসূচি।
দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ ভোরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব মহানগর ও জেলা কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করা, কালো পতাকা উত্তোলন ও নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করেন। সকালে ঢাকায় শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে বিভিন্ন স্থানে দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হবে। আজ থেকে পাঁচদিন চলবে এ খাবার বিতরণ। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষ্যে সেমিনার, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, রচনা প্রতিযোগিতা, স্বরচিত কবিতা পাঠ এবং বইমেলা করবে দলটি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শহিদ জিয়া প্রবর্তিত কালজয়ী দর্শন ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’ ও তার অবিনাশী আদর্শ এ দেশের মানুষকে উদ্দীপ্ত করে আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকারে। জাতির সব ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমান দেশের মানুষের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন। জাতির ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব ছিল অবিস্মরণীয়। এ মহান জাতীয়তাবাদী নেতার জনপ্রিয়তা দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা কখনোই মেনে নিতে পারেনি। তাকে হত্যা করা হয়। তিনি দেশের জনগণের হৃদয়ে চিরজাগরূক হয়ে আছেন, থাকবেন। তিনি বলেন, জাতীয় জীবনের চলমান সংকটে শহিদ জিয়ার প্রদর্শিত পথ ও আদর্শ বুকে ধারণ করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। জাতীয় স্বার্থ, বহুমাত্রিক গণতন্ত্র এবং জনগণের অধিকার সুরক্ষায় ইস্পাতকঠিন গণ-ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই দানবীয়, অবৈধ, গণতন্ত্র হরণকারী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে উত্তাল গণ-আন্দোলন সৃষ্টি করতে হবে। পরাজিত করতে হবে।