ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত হন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ। ওই ঘটনায় পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) সানজিদার নাম উঠে আসে।
এদিকে এডিসি হারুনকাণ্ডে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্যে আরও ৫ দিন সময় চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশের তদন্ত কমিটি।
৩ সদস্যের তদন্ত কমিটির সভাপতি করা হয়েছে ডিএমপি সদর দপ্তরের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) আবু ইউসুফকে। দুই সদস্য হলেন, রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (নিউমার্কেট জোন) শাহেন শাহ এবং অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগ) মো. রফিকুল ইসলাম।
তবে তদন্ত কমিটিতে এডমিন ক্যাডার ও ছাত্রলীগকে রাখার দাবি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ থেকে একটি পোস্টে এ দাবি করেন তিনি।
আশরাফুল আলম খোকন পোস্টে যা লিখেছেন:
‘সমাজের কিছু মানুষ, সবকিছুতেই মাঝপথ দিয়ে চলেন। জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ার ভয়ে, সত্য’কে সত্য বলেননা, মিথ্যা’কে মিথ্যা বলেননা। নিজের ছাড়া, ওনারা জাতীর কি উপকারে আসেন জানিনা।
যাহা সত্য-তাহা সত্য, যাহা মিথ্যা-তাহা মিথ্যা। সত্য-মিথ্যার মাঝখানে কিছু নেই। কিন্তু, নিরপেক্ষ ভাব নেয়ার জন্য, এরমধ্যে তারা একটা ধূসর লাইন খুঁজে বেড়ান, দুইপক্ষকেই খুশি করার জন্য। যদিও, এটা কোন টেকসই পদ্ধতি না।

পরকীয়া প্রেমের জের ধরে তিনজন জলজ্যান্ত মানুষকে থানায় ধরে নিয়ে কুকুরের মত পিটালো, দুইজনের ভবিষ্যৎ জীবন অন্ধকার করে দিলো, এরপরও তারা বলেন, আসলে কে দোষী তা এখনই নয়, তদন্তের পর বলা যাবে। সত্যিই সেলুকাস, কী বিচিত্র আপনারা!
মানলাম, নিষিদ্ধ পুরুষ এডিসি হারুনকে নিজের স্ত্রীর পাশে দেখে আজিজ নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, এর প্রতিশোধ কি দুজন তরুনের জীবন পঙ্গু করে দেয়া? ভবিষ্যৎ জীবন দুর্বিসহ করে তোলা?
হট্টগোল যদি আগে হয়েও থাকে, সেটা থানার বাইরে। ইসিজি-ইটিটি রুমের পর্দার ভিতরে, (ভিডিওতে দেখলাম) সিভিল পোশাকে, এডিসি হারুনকে পেয়ে যদি গায়ে কেউ হাত দিয়ে থাকে, এটার জন্য তিনি মামলা করতে পারতেন। কোন নাগরিককে ধরে এনে থানায় পিটানোর অধিকার দেশের আইনের কোথাও নাই।
এডিসি হারুন যে মার খেয়েছে, তাকে দেখে একবারও কি তা মনে হয়েছে? ছাত্রলীগ মারামারি করতে চাইলেতো এতক্ষনে শাহবাগ থানা ওখানে আস্ত থাকতো না, তারা তিনজন যেতেন না, চার/পাঁচশো ছাত্র নিয়ে যেতেন।
এক শেয়ালের লেজ কাটা গেছে, এখন সবার লেজ কাটতে হবে। মিডিয়াকে ব্যবহার করে একটি গোষ্ঠী সেই অপচেষ্টাই করে যাচ্ছে। কে প্রথমে হট্টগোল তৈরী করেছে, এটা প্রতিষ্ঠিত করে যারা শাহবাগ থানার পৈশাচিক ঘটনাকে জায়েজ করতে চাচ্ছেন, তারা এডিসি হারুনের মতোই অপরাধী।
আরেকটি কথা, তদন্ত কমিটিতে যারা সদস্য তারা শুধুই পুলিশ ক্যাডারের, কমিটিতে এডমিন ক্যাডার এবং ছাত্রলীগকেও রাখা উচিত। কারণ, ঘটনার সাথে তিনটা পক্ষ জড়িত। নয়তো রিপোর্ট একতরফাই হবার সম্ভাবনা বেশি।’