Connect with us

আন্তর্জাতিক

নিকারাগুয়ার ১০০ কর্মকর্তাকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র

Avatar of author

Published

on

মধ্য আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের ১০০ কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় ওয়াশিংটনে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।

তিনি জানান, বহুদিন ধরে আন্তর্জাতিক ও নিকারাগুয়ার স্থানীয় বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ওর্তেগা প্রশাসনের বিরুদ্ধে দেশটির বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সংবাদমাধ্যম, ব্যবসায়ী নেতা এবং ক্যাথলিক চার্চের যাজকদের ওপর দমন-পীড়ন চালানোর অভিযোগ জানিয়ে আসছে। সেসব অভিযোগ আমলে নিয়েই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে ।

এর আগে নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ওর্তেগার স্ত্রী রোসারিও মুরিলো, তাদের তিন সন্তান এবং সরকারি প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর ভিসা বিধিনিষেধ জারি করেছিল মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এবার যে ১০০ কর্মকর্তাকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হলো— তাদের অধিকাংশই ওর্তেগা প্রশাসনের মাঝারি পর্যায়ের কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, বৈপ্লবিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১৯৭৯ সালে স্বৈরশাসক অ্যানাসতাসিয়া সোমোজা দিবায়েলের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটিয়ে নিকারাগুয়ার ক্ষমতা দখল করে বামপন্থী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী সান্দিনিস্তা গেরিলা মুভমেন্ট। ওই অভ্যুত্থানে সান্দিনিস্তা গেরিলা মুভমেন্টের নেতৃত্বে ছিলেন ড্যানিয়েল ওর্তেগা। অভ্যুত্থানের সরাসরি ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসেন তিনি।

Advertisement

তারপর গেলো ৪৪ বছরের বিভিন্ন সময় ক্ষমতার কেন্দ্রে ও বাইরে অবস্থান করেছেন তিনি। সর্বশেষ ২০০৭ সালে তিনি ক্ষমতায় আসেন এবং এখনও নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্টের পদে আছেন ওর্তেগা।

ক্ষমতা ধরে রাখতে গেলো ৪৪ বছরের বিভিন্ন সময়ে বিরোধী রাজনৈতিক দল, সংবাদমাধ্যম, সিভিল সোসাইটি ও মানবাধিকার কর্মীদের ওপর গুরুতর ও পদ্ধতিগত সহিংসতা চালানো সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি অভিযোগে অভিযুক্ত ড্যানিয়েল ওর্তেগা; আর এক্ষেত্রে ওর্তেগার স্ত্রী ও নিকারাগুয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট রোসারিও মুরিলো এবং তাদের দল সান্দিনিস্তা গেরিলা মুভমেন্টের জেষ্ঠ্য নেতারা তাকে সবসময় সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন এবং করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক অঙ্গ সংগঠন ইউনাইটেড নেশন্স হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশনের (ইউএনএইচআরও) একটি প্রতিনিধিদল গত মার্চে জানিয়েছে, ওর্তেগার বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন ও সহিংসতা সংক্রান্ত অভিযোগগুলোর সত্যতা পেয়েছে তারা।

Advertisement

আন্তর্জাতিক

জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যা বললো পেন্টাগন

Published

on

মার্কিন-প্রতিরক্ষা-দপ্তর-পেন্টাগন,-মেজর-জেনারেল-প্যাট-রাইডার

বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মুখ খুলেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। দপ্তরটি বলেছে, আজিজের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে তা পুনঃনিশ্চিত করেছে।

বুধবার (২৬ জুন) পেন্টাগনের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জেনারেল আজিজের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পেন্টাগনের অভিমত ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তরের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার।

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তর মনে করে জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

ব্রিফিংয়ে প্যাটের কাছে পেন্টাগন অ্যাক্রেডিটেড সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, পেন্টাগন কীভাবে বাংলাদেশের সাথে তার সামরিক ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব নির্দেশ করছে। কারণ বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজকে তার উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ ব্যাপারে পেন্টাগন কী ভাবছে আমি কী তা জানতে পারি?

জবাবে পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, আপনি যেমনটা জানেন এবং আপনার প্রশ্নেও উল্লেখ করেছেন– ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িত থাকার দায়ে স্টেট ডিপার্টমেন্ট জেনারেল (আজিজ) আহমেদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। গেলো মে মাসে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং আইনের শাসনকে শক্তিশালী করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে সেটিকে পুনঃনিশ্চিত করছে এবং দুর্নীতি রোধে সেখানে (বাংলাদেশে) যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সেগুলোকে সমর্থন করে বিভাগটি (পেন্টাগন)।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, আমি এই বলে শেষ করতে চাই– বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ট দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। অবাধ এবং মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল, সামুদ্রিক এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলোতে দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ ও মুল্যবোধের ভিত্তিতে সেখানে অংশীদারিত্ব বিরাজমান রয়েছে।

গেলো মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। দুর্নীতির সঙ্গে ব্যাপকভাবে জড়িত থাকার দায়ে তার বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ভারতে প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী

Published

on

রাহুল-গান্ধী

প্রথমবারের মতো কোনো সাংবিধানিক পদে পেলেন রাহুল গান্ধী। ইন্ডিয়ার শরিক দলগুলিও কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছে। গেলো ১০ বছর লোকসভায় কোনো বিরোধী নেতা ছিলেন না। কারণ, বিরোধী দলনেতার পদ পেতে গেলে লোকসভার মোট আসনসংখ্যার দশ শতাংশ বা ৫৪টি আসনে জিতে আসতে হতো। গেলো ১০ বছরে কোনো বিরোধী দলই এতগুলি আসন পায়নি। কংগ্রেস এবার ৯৯টি আসন পেয়েছে। ফলে তারা এবার বিরোধী নেতার পদ পেল।

বুধবার (২৬ জুন) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কংগ্রেস সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী প্রোটেম স্পিকার ভর্তৃহরি মহাতবকে চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেস রাহুল গান্ধীকেই বিরোধী নেতার পদের জন্য মনোনীত করেছে। ইন্ডিয়ার শরিক দলগুলিও কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে। ২০০৪ সালে আমেঠি থেকে জিতে লোকসভায় প্রবেশ করেছিলেন রাহুল গান্ধী। তারপর দশ বছর কেন্দ্রে ইউপিএ-র সরকার ছিল। সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং অনেকবার রাহুলকে মন্ত্রী হওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তিনি রাজি হননি।

২০১৭ সালে রাহুল কংগ্রেস সভাপতি হন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের আবার ভরাডুবি হওয়ায় রাহুল ইস্তফা দেন। তারপর তিনি আর দলের দায়িত্ব নেননি। লোকসভায় কংগ্রেসের নেতার দায়িত্বও নেননি। কিন্তু এবার কংগ্রেসের ফল ভালো হওয়ায়, তাদের শক্তি অনেকটা বেড়ে যাওয়ার পর রাহুল বিরোধী নেতার পদ নিতে রাজি হয়েছেন। ফলে এই প্রথমবার তিনি কোনো সাংবিধানিক পদে গেলেন।

শুধু তাই নয়, এই প্রথমবার লোকসভায় তিনি সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেবেন। লোকসভায় সরকারকে কোণঠাসা করার চেষ্টা থেকে শুরু করে ইন্ডিয়ার শরিক দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে এক হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানোর কাজটা তাকেই করতে হবে। স্পিকার পদে কংগ্রেসের প্রার্থী স্পিকারের পদ নিয়ে এবার ভোটাভুটি হবে। স্পিকারের পদে এনডিএ-র প্রার্থী হলেন গতবারের স্পিকার ওম বিড়লা।

Advertisement

কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের দাবি ছিল, রীতি মেনে ডেপুটি স্পিকারের পদ বিরোধীদের দিতে হবে। কিন্তু সরকার তাতে রাজি হয়নি বলে দাবি করেছেন বিরোধীরা।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি বিরোধীদের অনুরোধ করেছিলেন, ডেপুটি স্পিকারের বিষয়টি নিয়ে পরে ফয়সালা হবে। আগে স্পিকার পদে ওম বিড়লাকে সমর্থন করুক বিরোধীরা। এরপর কংগ্রেস আটবারের সাংসদ সুরেশকে স্পিকার পদে প্রার্থী করেছে। সুরেশ এই লোকসভায় সবচেয়ে বেশিবার জিতে আসা সাংসদ। কংগ্রেসের দাবি ছিল, তাকেই প্রোটেম স্পিকার করতে হবে। কিন্তু সেই দাবি মানা হয়নি। প্রোটেম স্পিকার হয়েছেন ভর্তৃহরি মহাতব।

কংগ্রেস সূত্র জানাচ্ছে, সরকার ডেপুটি স্পিকারের পদ নিয়ে অনড় মনোভাব দেখানোর পর দলিত নেতা কে জি সুরেশকে প্রার্থী করা হয়। এর পিছনে একটা রাজনৈতিক বার্তা আছে। তৃণমূলের ক্ষোভ স্পিকার পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য নির্ধারিত সময়সীমার সামান্য আগে কংগ্রেস একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে জানায়, স্পিকারের পদের জন্য সুরেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

এরপর তৃণমূল জানিয়েছিল, কংগ্রেস এইভাবে একতরফা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। ইন্ডিয়া শরিকদের সঙ্গে কেন আলোচনা করা হলো না, সেই প্রশ্নও তোলে তারা। রাতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাড়িতে ইন্ডিয়ার শরিক দলগুলির নেতাদের বৈঠক হয়। সেখানে তৃণমূলের দুই নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও ব্রায়েন গেছিলেন।

ওই বৈঠকে ঠিক হয়, ইন্ডিয়ার সব শরিক দল সুরেশকে সমর্থন করবে। তবে কংগ্রেস নেতৃত্বকে তৃণমূল জানিয়ে দিয়েছে, তারা যেন একতরফা সিদ্ধান্ত না নেন। তবে স্পিকার পদে লড়াই হলেও লোকসভায় এনডিএ-র সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। ফলে ওম বিড়লার দিকেই পাল্লা ভারী।

Advertisement

কংগ্রেস সূত্র জানিয়েছে, ভিপি নরসিমহা রাও, বাজপেয়ী, মনমোহনের আমলে বিরোধী দলের থেকেই ডেপুটি স্পিকার হয়েছেন। সেই রীতি মানা হচ্ছে না বলেই, তারা একজন প্রবীণ দলিত নেতাকে স্পিকারের পদে দাঁড় করিয়েছেন।

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আফ্রিকা

নাইরোবিতে ট্যাক্সবিরোধী আন্দোলন, নিহত কয়েকজন

Published

on

কেনিয়ায় ট্যাক্সবিরোধী আন্দোলন সহিংস আকার ধারণ করেছে। এই বিক্ষোভ থেকে দেশটির সংসদ ভবনে আগুন দেয়া হয়েছে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের দমাতে পুলিশ গুলি ছুড়লে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশি বাধা টপকে দেশের সংসদ ভবনে আগুন দেন বিক্ষোভকারীরা। কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান দিয়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যর্থ হলে পুলিশ গুলি চালায়।

বুধবার (২৬ জুন) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

সংসদ ভবনের বাইরে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন এমন পাঁচজন বিক্ষোভকারীর মরদেহ গুণে দেখেছেন রয়টার্সের একজন সাংবাদিক। তবে প্যারামেডিক ভিভিয়ান আচিস্তা বলেছেন, কমপক্ষে ১০ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

আরেকজন প্যারামেডিক রিচার্ড এনগুমো বলেছেন, গুলিতে ৫০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। তিনি সংসদের বাইরে দুজন আহত বিক্ষোভকারীকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

Advertisement

ডেভিস তাফারি নামে একজন বিক্ষোভকারী রয়টার্সকে বলেন, আমরা সংসদ বন্ধ করে দিতে চাই। প্রত্যেক এমপির পদত্যাগ করা উচিত। আমাদের একটি নতুন সরকার দরকার।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, কাঁদনে গ্যাস ও গুলি চালিয়ে পুলিশ শেষ পর্যন্ত সংসদ ভবন থেকে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ করতে পেরেছে। এছাড়া ভূগর্ভস্থ টানেল দিয়ে এমপিদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

শুধু নাইরোবি নয়, এদিন ট্যাক্স বাড়ানোর প্রতিবাদে দেশের অন্যান্য শহর ও নগরেও বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ হয়েছে। এসব বিক্ষোভ থেকে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর পদত্যাগের দাবি করা হচ্ছে। যদিও আন্দোলন শুরু হয়েছিল ট্যাক্স বৃদ্ধির বিরোধিতা করে।

আফ্রিকার এই দেশের মানুষজন করোনো মহামারির দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব, ইউক্রেনের যুদ্ধ, টানা দুই বছরের খরা এবং মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে সৃষ্ট বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক ধাক্কা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। তাদের এমন অর্থনৈতিক চাপের মধ্যেই রাজস্ব আয় বাড়াতে আরও প্রায় ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের করের বোঝা জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে সরকার।

ইতিমধ্যে নতুন এই অর্থ বিলের অনুমোদন দিয়েছে সংসদ। এখন তৃতীয় বারের মতো এটি আবারও সংসদে উঠবে। এই ধাপে পাস হলে তা স্বাক্ষরের জন্য প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো হবে। কোনো আপত্তি থাকলে তিনি তা সংসদে ফেরত পাঠাতে পারেন। আর আপত্তি না থাকলে তিনি সই করলেই তা আইনে পরিণত হয়ে যাবে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত