শ্রীলঙ্কাকে হারানোর ম্যাচে বড় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল বাংলাদেশকে। তবে সেই শ্রীলঙ্কাই কিন্তু সহজ করে দিয়েছে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলার পথ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অনেক বড় ব্যবধানে হেরে।
কিন্তু বাংলাদেশের এখনো নিশ্চিত হয়নি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। বাংলাদেশের বিপক্ষে একেবারে অসম্ভব যে সমীকরণ আছে সেটিও কিন্তু নয়। তবে সমীকরণটা আছে বাংলাদেশের অনুকূলে।
বাংলাদেশ আগামীকাল বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। অজিদের কাছে ১৮০ রানের মতো বড় ব্যবধানে হারলেই শুধু শ্রীলঙ্কার চেয়ে নেট রানরেটে পিছিয়ে পড়বে বাংলাদেশ। অথবা বাংলাদেশ যদি আগে ব্যাটিং করে ২০০ রানের বেশি করে তাহলে অজিদের ২৩ ওভারের মধ্যে জয় বঞ্চিত করতে হবে।
তবে বাংলাদেশ যদি কালকের ম্যাচটি হেরে যায় এবং নেদারল্যান্ডস কোন ভাবেও এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে অপরাজিত ভারতের বিপক্ষে কোন অঘটন ঘটায় তাহলে বিপদ আছে বাংলাদেশের কপালে।
সমীকরণ যাই থাকুক বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ নিশ্চয়ই জয় দিয়ে শেষ করতে চাইবে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে জয়ের পর টানা ছয় ম্যাচে হেরেছে। তবে সবশেষ শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে টাইগাররা বেড়িয়ে এসেছে হারের বৃত্ত থেকে।
তবে প্রতিপক্ষ যখন শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া তখন বাংলাদেশের জন্য কাজটা কোনভাবেও সহজ হবে না। বাংলাদেশের সবশেষ ম্যাচটার কথা বাদ দিলে বাকি ম্যাচ গুলো ব্যাট কিংবা বল কোনভাবেও আসেনি সাফল্য। আবার এই ম্যাচে বাড়তি চিন্তা দলে নেই টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের অনুপস্থিতি ভোগাবে বাংলাদেশকে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। সাকিবের জায়গায় হয়তো সুযোগ পাবেন নাসুম আহমেদ। এছাড়াও শেষ ম্যাচের জন্য অভিজ্ঞ এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি একদম কাজের কাজ করতে পারেনি চলতি আসরে। কাজেই এনামুলকে সুযোগ দিতেও পারে।
একাদশ যাই হোক মুশফিক-রিয়াদের বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ। এই দুই ক্রিকেটারের জন্য হলেও বাংলাদেশের ম্যাচটা জেতা প্রয়োজন।