আধুনিক প্রযুক্তি আর দক্ষ বিমান ক্রুদের কারণে আগুন লাগা অবস্থাতেই রানওয়েতে অবতরণ করলেও বেঁচে যান জাপান উড়োজাহাজের ৩৭৯ জন যাত্রী ও ক্রু। নিহত হন জাপান কোস্টগার্ডের বিমানে থাকা ৫ সদস্য।
গেলো মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় টোকিও হানেদা বিমানবন্দরে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্ঘটনা কবলিত জাপান এয়ারলাইন্সের এয়ারবাস এ৩৫০ হল নতুন প্রজন্মের বিমানগুলির মধ্যে একটি, যা প্রধানত কার্বন ফাইবার কম্পোজিট উপাদান থেকে তৈরি প্রথম বাণিজ্যিক বিমান। ওই উপাদানের কারণেই আগুন ধরা সত্ত্বেও বিমানটি ভালভাবে তা প্রতিরোধ করতে পেরেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের ক্র্যানফিল্ড ইউনিভার্সিটির পরিবহন ব্যবস্থা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক গ্রাহাম ব্রেথওয়েট বলেন,উড়োজাহাজগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যাতে এটির অর্ধেক জরুরি দরজা খোলা রাখা হলেও ৯০ সেকেন্ডের মধ্যে সব যাত্রীকে সরিয়ে নেয়া যায়।
ক্রুদের প্রশংসা করে অধ্যাপক ব্র্যাথওয়েট বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটির উদ্ধারকাজ সফল হওয়াই জানান দেয় যে কেবিন ক্রুদের প্রশিক্ষণে কতটা বিনিয়োগ করা হয়েছে। ক্রুরা বিমানটি থেকে সবার শেষে বের হন এবং কোনও সন্দেহ ছাড়াই বলা যায় তারা এক অবিশ্বাস্য কাজ করেছেন
তিনি আরও বলেন, জাপানের সব বিমানবন্দরে জরুরি দমকলকর্মীরা তিন মিনিটের মধ্যে যে কোনও স্থানে পৌঁছানোর জন্য প্রস্তত থাকে এবং বিমান পর্যন্ত পৌঁছানোর প্রকৃত লক্ষ্যমাত্রা থাকে দুই মিনিট। এক্ষেত্রে দুটি জিনিস লক্ষ্য রাখতে হয় প্রথমত, তাদের নিশ্চিত করতে হবে যে এমন কোনো অগ্নিকাণ্ড যাতে মানুষের নিরাপদে সরে যাওয়াকে বাধাগ্রস্ত না করে। তারপরে অগ্রাধিকার হল আগুন নিভিয়ে দেওয়া।
সাবেক পাইলট অ্যালিস্টার রোজেনশেইন বলেছেন যে অন্য একটি বিমানের সাথে "খুব শক্তিশালী সংঘর্ষ" সত্ত্বেও উড়োজাহাজটি রানওয়ে থেকে বিচ্ছিন্ন হয়নি। যার কারণে ওই উড়োজাহাজের পাইলটকে এটিকে রানওয়েতে থামাতে বলা সম্ভব হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এয়ারবাস কোম্পানির তৈরি এ৩৫০ মডেলের উড়োজাহাজের এটিই প্রথম দুর্ঘটনা।