অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যে, একতরফা ও ডামি নির্বাচন নিয়ে সরকারের একগুঁয়েমি আচরণ সারাদেশে সহিংসতা ও সন্ত্রাসকে উসকে দিচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাজধানীতে চলন্ত ট্রেনে অগ্নিকাণ্ড এবং হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। কেননা ইতিমধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকজন নিহত ও অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) এর প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান এক বিবৃতিতে একথা বলেন।
ইউট্যাব নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী, স্বতন্ত্র ও ডামি প্রার্থী এবং সমর্থকেরা নিজেরাই সংঘর্ষ, হানাহানি ও সহিসংতায় লিপ্ত হয়েছে। অথচ দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ ৬৪টি রাজনৈতিক দল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। এমনকি আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
নেতারা আরও বলেন, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে অদ্যাবধি প্রায় ২৫ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে বিনা কারণে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে রেখে অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ অসংখ্য কেন্দ্রীয় ও শীর্ষ নেতা রয়েছেন। এরপরও দেশে পরিকল্পিতভাবে নাশকতা ঘটাচ্ছে সরকারি দলের লোকজন ও বিভিন্ন সংস্থার লোকেরা। তা না হলে অপরাধীদের ধরা হচ্ছে না কেন?
উল্লেখ্য, বিবৃতিতে সচেতন ও বিবেবকবান নাগরিকদের ভোট বর্জনের আহ্বান জানান তারা। এসময়ে বেনাপোল এক্সপ্রেসে নাশকতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা