মাঝমাঠের কাছাকাছি জায়গায় টনি ক্রুসের পায়ে বল। মনে হচ্ছিলো স্বাভাবিক ভাবেই দৌড়াচ্ছেন। বায়ার্ন ডিফেন্ডাররা হয়তো ভেবেছিলো এখান থেকে বিপদের সম্ভাবনা কই! কিন্তু এর মধ্যেই ভিনিসিয়াস জুনিয়রের সাথে ক্রুশ করে ফেলেন অনেক হিসাব নিকাশ।
বায়ার্ন ডিফেন্ডার কিম মিন-জায়েকে নিজের দিকে আকর্ষণ করছিলেন ভিনিসিয়াস। কিন্তু এই দক্ষিণ কোরিয়ান সেন্টার ব্যাক বুঝতেই পারেননি ভিনি তাঁকে বোকা বানাচ্ছেন। কৌশলে কিমকে একটু ওপরে টেনে আনছেন, যাতে ডান দিকে ফাঁকা হয়ে যায়।
ভিনির কৌশলে তৈরি হওয়া সেই ফাঁকা হওয়া গোপন জায়গা এড়িয়ে যায়নি ক্রুসের চোখ। ভিনিকে হাতের ছোট একটি ইশারা দিয়ে দুর্দান্ত থ্রো দেন জার্মান মিডফিল্ডার। ভিনি দৌড় শুরুর পর কিম হয়তো নিজের ভুলটা বুঝতেও পারলেন। তবে থামানো গেলো না ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে।
বল জালে পাঠিয়ে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুল করলেন না ভিনিসিয়াস। ক্রুশের সামনে মাথা নুইয়ে করলেন কুর্নিশ।
চ্যাম্পিয়নস লিগের দুই সফল ক্লাবের দ্বৈরথের যে উত্তেজনা ছিলো তার অর্ধেক হয়তো এই গোল দেখেই পূরণ হয়েছে দর্শকদের। বাকি অর্ধেকে যে উত্থান-পতন এবং ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই ছিলো, সেখানে শেষ পর্যন্ত জেতেনি বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদের কেউই।
প্রথমার্ধে আলিয়েঞ্জ অ্যারেনায় বায়ার্নের দাপটের মধ্যে ভিনিসিয়াসের গোলে রিয়াল এগিয়ে যায়। বিরতির পর যখন মনে হচ্ছিলো ম্যাচ কিছুটা রিয়ালের নিয়ন্ত্রণে। তখনই চার মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন লেরয় সানে ও হ্যারি কেইন।
এরপর বায়ার্ন যখন ঘরের মাঠে জয় নিয়ে ম্যাচ শেষ করার অপেক্ষা। তখন পেনাল্টি থেকে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করে রিয়ালকে সমতায় ফেরান ভিনি। আর সমতাতেই শেষ হয় ইউরোপিয়ান ক্লাসিকোর প্রথম লেগের লড়াই।