ফ্রান্সে পার্লামেন্টে নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শেষের পথে রয়েছে। আর কিছুক্ষণ পরেই দেশটির অধিকাংশ অঞ্চলে ভোটগ্রহণ শেষ হবে। তবে প্যারিসের মতো বড় শহরগুলোতে আরও দুই ঘণ্টা ভোটগ্রহণ চলবে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজ রোববার (৩০ জুন) সকাল ৮টায় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ইতিমধ্যে রেকর্ড প্রায় ৬০ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। আর কিছুক্ষণ পরই দেশটির অধিকাংশ অঞ্চলে ভোটগ্রহণ শেষ হবে। তবে বড় বড় শহরে স্থানীয় সময় রাত ৮টা পর্যন্ত ভোট দিতে পারবেন ভোটাররা।
ভোট শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বুথ ফেরত জরিপের ফল প্রকাশিত হওয়া শুরু করবে। তখন থেকেই নির্বাচনে কোন দল কেমন করলো, সে সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যাবে। যদিও ভোট শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই সামগ্রিক চিত্র জানা যাবে।
এরপরও বার্তা সংস্থা
রয়টার্স বলছে, এবারের নির্বাচনে কট্টর ডানপন্থি ন্যাশনাল র্যালি (আরএন) দলের নেতা মেরিন লে পেন প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। দলটি অভিবাসনবিরোধী ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমালোচনাকারী হিসেবে বেশ পরিচিত। দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ২৮ বছর বয়সী জর্দান বারদেলা।
এবারের নির্বাচনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর রেনেসাঁ দল অর্ধেকের বেশি আসন হারাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নির্বাচনের আগে করা জরিপে দেখা গেছে, ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর জোট ২০ থেকে ২১ শতাংশ ভোট পেতে পারে।
অবশ্য এটাও মাথায় রাখতে হবে ফ্রান্সের রাজনৈতিক ব্যবস্থা বেশ জটিল। ৫৭৭ আসনের পার্লামেন্টে কে কত আসন পাবে, তা আগে থেকে অনুমান করা বেশ কঠিন। এই জন্য ৭ জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এদিন দ্বিতীয় দফার ভোট শেষ হলেই চূড়ান্ত ফল জানা যাবে।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ নিজ দেশে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে ডানপন্থীদের কাছে ধরাশায়ী হয়ে তড়িঘড়ি করে আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচন দেন। গেল ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে ফ্রান্সের ডানপন্থী আরএন দল ৩২ শতাংশ ভোট পেলেও ম্যাক্রোঁর রেনেসাঁ দল পায় মাত্র ১৪ শতাংশ ভোট।