বিনোদন

বনানীতে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সংগীতশিল্পী জুয়েল

বনানীতে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সংগীতশিল্পী জুয়েল
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ঘণ্টা কয়েকের ব্যবধানে বনানী গোরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলাদেশের গুণী দুই সংগীতশিল্পী। প্রথমে কালজয়ী ব্যান্ড ‘মাইলস’ এর কিংবদন্তী শিল্পী শাফিন আহমেদ, পরে গায়ক এবং টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। একই গোরস্থানে শাফিনের দাফন সম্পন্ন হয় বিকেল সোয়া তিনটার দিকে। অন্যদিকে জুয়েলের দাফন সম্পন্ন হলো সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে। এসময় গোরস্থানে উপস্থিত ছিলেন জুয়েলের পরিবারের সদস্যসহ সংগীত অঙ্গনের অনেকে। এরআগে আসর নামাজের পর গুলশানের আজাদ মসজিদে হয় জুয়েলের নামাজে জানাজা। যেখানে গায়কের পরিবারসহ সংগীত অঙ্গনের বহু পরিচিতজনকে দেখা যায়। দীর্ঘদিন ধরে টেলিভিশন প্রযোজনা ও নির্মাণের সাথে ছিলেন জুয়েল, তার শেষ বিদায়ে বিভিন্ন সময়ের সহকর্মীরাও এসময় উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে লিভার ক্যানসারে ভুগছিলেন জুয়েল। গেল ২৩ জুলাই শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হন হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হলে নেয়া হয় লাইফসাপোর্টে। শেষ দুদিন অবস্থার উন্নতির কথাই জানাচ্ছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে এলো দুঃসংবাদ। নব্বই দশকে ব্যতিক্রমী কণ্ঠ নিয়ে হাজির হন শিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। ব্যাংকার বাবার চাকরির কারণে ছোটবেলায় তাকে থাকতে হয়েছিল দেশের বিভিন্ন জায়গায়। বাবা মায়ের অনুপ্রেরণাতেই গানের জগতে পা রাখেন জুয়েল। প্রথম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রতিবেশী একজনের কাছে গান শিখেছিলেন আর মঞ্চে প্রথম গান করেছিলেন তখন তিনি পড়েন চতুর্থ শ্রেণিতে। ১৯৮৬ সালে ঢাকায় চলে আসেন জুয়েল। এসেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কেন্দ্রিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক তৎপরতায় জড়িয়ে পড়েন। তখনই বিভিন্ন মিডিয়ার সাথে তার যোগাযোগ ঘটতে শুরু করে। জুয়েলের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে। দশটির মতো অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে তার। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘এক বিকেলে’ অ্যালবামটি। এটি প্রকাশের পর তার নামই হয়ে যায় এক বিকেলের জুয়েল। এসআই/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বনানীতে | চিরনিদ্রায় | শায়িত | সংগীতশিল্পী | জুয়েল