পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে জয়ের পর, রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচেও জয় তুলে নিয়েছে বাংলার টাইগাররা। বাংলাদেশের ৬ উইকেটের এই জয়ে দলীয় পারফরম্যান্সই চোখে পড়েছে পুরোটা সময় জুড়ে।
পাকিস্তানকে সিরিজ হারানোর মাধ্যমে টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থবারের মতো প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ। দেশের বাইরে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট সিরিজ জয়। এর আগে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে হওয়া একমাত্র টেস্টটি জেতে লাল-সবুজের দল।
সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে চড়েই জয়ের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। জয়ের দ্বারপ্রান্তে থেকে যখন কেবল আর চার রান দরকার, তখন সাকিব কাভার প্রান্ত দিয়ে একটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় পূর্ণ করেন। আরেক প্রান্তে মুশফিক তখন জয়ের আনন্দ উদযাপনে নিজেকে মেলে ধরেছেন।
সাকিব ২১ (৪৩) রানে, মুশফিক ২২ (৫১) রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফিরে ৩ ওভার ঠিকঠাক পার করে বাংলাদেশ দল। তবে পার্ট-টাইম স্পিনার সালমান আলী আগার একটি ফুলার লেন্থ বলের সঙ্গে কায়দা করে উঠতে পারেননি শান্ত। আর সেই বলেই শর্ট লেগে দাঁড়ানো আব্দুল্লাহ শফিকের কাছে ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি। বাংলাদেশ অধিনায়ক বিদায় নেন ৩৮ (৮২) রান করে।
মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হক এবার নিজেদের দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে থাকেন। রানের ব্যবধান কমতে থাকে। পাকিস্তান দল ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেছিল উইকেট শিকার করতে। তবে দুই ব্যাটার বেশ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। এরমধ্যে আবরার আহমেদের দুই বলে দুই রিভিউ হারিয়ে বসে পাকিস্তান। মুশফিক ছিলেন স্ট্রাইক প্রান্তে। লেগ বিফোরের আবেদন করা দুই বলই ব্যাটারের ব্যাট ছুঁয়ে যায় বল।
মুশফিকুর রহিমের উইকেট তুলে না নিতে পারলেও, আবরার আহমেদ তুলেছেন মুমিনুলের উইকেট। মিড অনের ওপর দিয়ে শট খেলতে চাওয়া এই ব্যাটারের ক্যাচ নিয়েছেন সাইম আইয়ুব। মমিনুলের ফেরা পড়ে ৩৪ (১৭) রানে।
এরপরেই সাকিব ক্রিজে আসেন। মুশফিক ও সাকিব মিলে নিজেদের অভিজ্ঞতার আলোকে খেলতে থাকেন। আর কোনো বিপদ ঘটেনি। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে অনেক জয়ের সাক্ষী সাকিব ও মুশফিক। তাদের হাত ধরেই এই ঐতিহাসিক জয়ে পা রাখে বাংলাদেশ।
এম এইচ//