মালেশিয়ার রাষ্ট্রীয় তহবিল ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের উপর ফের ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থ পাচারের অভিযোগে আনা হয়েছ। বুধবার (৩০ অক্টোবর) নাজিবকে তার দ্বিতীয় দুর্নীতির মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত।
সবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিবের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারে চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে এবং ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বেরহাদের (ওয়ানএমডিবি) কাছ থেকে ৫২ কোটি ৬০ লাখ ডলার নেয়ার অভিযগে ২১টি অর্থ পাচারের অভিযোগ দেখানো হয়েছে।
যদিও এসব অভিযোগকে তিনি স্বীকার করেননি। তবে আদালতে এসব অভিযোগ প্রমানিত হলে সাবেক এই প্রাধানমন্ত্রীর ২০ বছরের কারাদণ্ড এবং জড়িত অর্থের পাঁচগুণ জরিমানা গুনতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ার তদন্তকারীরা বলছেন, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে নাজিবের প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রীয় তহবিল ওয়ানএমডিবি থেকে অন্তত ৪৫০ কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার কুয়ালালামপুর হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন, প্রসিকিউটররা নাজিবের বিরুদ্ধে ২৫টি অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করেছেন। সাক্ষ্য দিতে প্রসিকিউটররা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর জেটি আখতার আজিজসহ ৫০ জন সাক্ষীকে ডেকেছিলেন।
নাজিবের প্রতিরক্ষা দলের প্রধান মুহাম্মদ শফি আবদুল্লাহ জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী এই রায়ে ‘অত্যন্ত হতাশ’। তবে তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনে প্রস্তুত।
রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তরের বিষয়ে তার কিছু জানা ছিল না দাবি করে নাজিব বলেন, অন্যরা তাকে বিভ্রান্ত করেছে। তিনি ভেবেছিলেন, তার ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টে স্থানান্তরিত অর্থ সৌদি রাজপরিবারের রাজনৈতিক অনুদান। দীর্ঘ নয় বছর ক্ষমতায় থাকার পর ২০১৮ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া নাজিব গত সপ্তাহে ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির ব্যর্থতায় তার ভূমিকার জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন যা বিরল।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ৭১ বছর বয়সী নাজিবকে ওয়ানএমডিবি সংশ্লিষ্ট পৃথক একটি মামলায় দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। পবর্তীতে মালয়েশিয়ার রাজার সভাপতিত্বে একটি ক্ষমা বোর্ড এই সাজা অর্ধেক করে দেয় এবং নাজিব ২০২৮ সালের আগস্টে মুক্তি পাওয়ার সময় ধার্য হয়।
জেডএস/