বিশাল বড় বড় গরু। সুন্দর করে রঙ করা, গায়ে ঝুলছে বেলুন আর ঘণ্টা। মাটিতে উপুড় হয়ে শুয়ে আছে বেশকজন মানুষ। গরুগুলো তাদের উপড় দিয়ে হাঁটছে! আর তারা ব্যথায় কুঁকড়ে উঠছে। শুনতে অবাক লাগলেও ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভিদাওয়াদ গ্রামে ঠিক এমন আয়োজন করা হয় প্রতি বছর।
দিওয়ালির পরের দিন, গোবর্ধন পূজায় গ্রামবাসী পালন করেন তাঁদের প্রাচীন এক রীতি। এই আয়োজনে সারাগ্রামেই উৎসবের আমেজ চলে। বাজানো হয় ঢাক-ঢোল। সকালে গরুগুলোকে গোসল করানো হয়। তারপর রঙ আর অলংকার দিয়ে সাজানো হয়। গরুগুলোর শরীরে জুড়ে দেয়া হয় নানা রঙের বেলুন। কিন্তু এর চেয়েও অবাক করা ঘটনা অপেক্ষা করছে।
দিনের বিশেষ মুহূর্তে গ্রামের পুরুষেরা কাদামাটির মধ্যে শুয়ে পড়েন। ঠিক গরুগুলোর চলার পথে। আর গরুগুলো একে একে তাঁদের শরীরের ওপর দিয়ে হেঁটে যায়।
গ্রামবাসী মনে করেন, গরু-মাতা ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিয়ে আসে। গরুর পায়ের নিচে গেলে সব দুঃখ-কষ্ট দূর হয়, আর মনোবাসনা পূরণ হয়। একজন প্রবীণ গ্রামবাসী বললেন, "ব্যথা তো থাকে, কিন্তু ঈশ্বরের আশীর্বাদও পাওয়া যায়। এটাই আমাদের বিশ্বাস।"
যারা এই রীতি পালনকারীরা বলেন, ব্যথা থাকলেও মনে এক ধরনের শান্তি আসে। কেউ কেউ হাসতে হাসতে বলেন, "আমার মনে হয়, এই ব্যথা ঈশ্বরের পরীক্ষা।"
জজজ/ জেডএস/