অর্থনীতি

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট কাটছে, কমেনি চালের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আগের তুলনায় কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের বাজার। অধিকাংশ দোকানেই এখন কম-বেশি বিভিন্ন কোম্পানির সয়াবিন তেলের বোতল পাওয়া যাচ্ছে। তবে বেশিরভাগ জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে না ৫ লিটার সয়াবিন তেলের বোতল। এদিকে রোজার শুরুতে সেঞ্চুরি করা বেগুনের দাম কিছুটা কমেছে। তবে এখনও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে লেবু ও চাল।

শুক্রবার (৭ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দামের এ তথ্য জানতে পারে গণমাধ্যম।

বাজারে ঝিঙা প্রতি কেজি ৬০ টাকাকরলা ১২০ টাকা, ক্ষীরা ৫০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, পটল ১২০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে। ফুল কপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, বাধা কপি ৩০, গাজর প্রতি কেজি ৩০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, শিম  ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। জালি কুমড়া প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, আলু প্রতি কেজি ৩০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকাভালো লেবু প্রতি হালি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় এবং ধনেপাতা প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গত বছর এ সময়ে  প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ছিলো ১১০ থেকে ১৩০ টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার কারওয়ান বাজারে দেশি ভালো মানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৬ থেকে ৩৭ টাকায়। মহল্লায় এ মানের পেঁয়াজ কিছুটা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। সেখানে কেজিপ্রতি খরচ পড়ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। এ ছাড়া হাইব্রিড জাতের পেঁয়াজ কারওয়ান বাজার থেকে কেনা যাচ্ছে ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা দরে, যা মহল্লায় বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়।

তবে ক্রেতা খুশি থাকলেও কৃষকরা হতাশায় ভুগছেন বলে মনে করেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা। পাইকারি ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান ফরিদপুর ও পাবনার কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি পেঁয়াজ এনে কারওয়ান বাজারে বিক্রি করেন। তিনি পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩২ টাকা দরে বিক্রি করছেন। 

এদিকে ডিমের বাজারও নিম্নমুখী। প্রথম রোজায় ফার্মের প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকা দরে। ডজনে ১০ টাকা কমে গতকাল বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকায়। মহল্লার দোকানে কেউ কেউ ডজনে ৫ টাকা বেশি রাখছেন। মুরগির দর গত সপ্তাহের চেয়ে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা এবং সোনালি জাতের মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৯০ টাকা দরে। 

এদিকে অধিকাংশ দোকানে ৫০০ মিলিগ্রাম,১ ও ২ লিটার সয়াবিন তেলের বোতল কম-বেশি পাওয়া যাচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বোতলজাত সয়াবিন তেলের ব্ল্যাকআউটের মতো যে অবস্থা তৈরি হয়েছিল সেটি এখন তেমন নেই। প্রায় দোকানগুলোতেই ক্রেতারা সয়াবিন তেলের বোতল চাইলে পাচ্ছেন। তবে এখনও অদৃশ্য ৫ লিটারের বোতল।

শরিফুল ইসলাম নামের এক বিক্রেতা বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বোতলজাত সয়াবিন তেল একেবারেই সরবরাহ বন্ধ ছিল। প্রায় দোকানগুলোই সয়াবিন তেল শূন্য ছিল। গত ২ দিন ধরে আবারও সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। এখন কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। আশা করছি, এই সরবরাহ বজায় থাকলে দ্রুতই বোতলজাত সয়াবিনের বাজার আরও স্বাভাবিক হবে।

 

চালের বাজারে এখনও অস্বস্তি রয়ে গেছে। আমদানি শুল্ক কমালেও ভোক্তা সেই সুফল পাচ্ছেন না। বরং কোনো কোনো চালের দর বেড়েছে। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে। এক মাস ধরে এ দরেই রয়েছে মোটা চাল। গত এক মাসে মাঝারি ও সরু চাল কেজিতে দুই টাকা বেড়েছে। বর্তমানে মাঝারি চাল ৫৮ থেকে ৬৫ টাকা ও সরু চাল ৭২ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন চাল | বাজার