গেলো ২২ এপ্রিল ভারত শাসিত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক চরমে পৌঁছেছে। হামলার পর থেকে পাঁচ দিন ধরে সীমান্ত এলাকায় গুলি বিনিময় হয়েছে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে পাকিস্তান পরমাণু হামলার হুমকি দিয়েছে। ভারত সীমান্তে ব্যাপক সেনা মোতায়েন করেছে।
গেলো ২৭ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, ভারত সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশ্বের একাধিক দেশের নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন। একই সঙ্গে নয়াদিল্লিতে ১০০টিরও বেশি দেশের কূটনীতিকদের ডেকে পাঠিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
কূটনৈতিক সূত্রের দাবি, এসব পদক্ষেপের উদ্দেশ্য উত্তেজনা প্রশমনের জন্য নয়, বরং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অভিযানে আন্তর্জাতিক সমর্থন নিশ্চিত করা।
এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, হামলার পর থেকে প্রতিদিন রাতেই পাকিস্তানি বাহিনী সীমান্তে ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি চালাচ্ছে। তবে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনো বিবৃতি বা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
কাশ্মীর হামলার জন্য পাকিস্তানকে সরাসরি দায়ী করে একাধিক কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে ভারত। এর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে থাকা বেশ কয়েকটি চুক্তি স্থগিত করা, পাকিস্তানি দূতাবাসের কিছু কর্মীকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া এবং ভারত সফররত পাকিস্তানি নাগরিকদের ফেরত পাঠানো।
ভারত আরও ঘোষণা দিয়েছে, পাকিস্তানের দিকে প্রবাহিত নদীগুলোর পানি আটকে দেওয়া হবে। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে পাকিস্তানের মন্ত্রীরা হুঁশিয়ারি দেন, যদি কোনো বাঁধ নির্মাণ বা পানি সরবরাহ বন্ধের চেষ্টা করা হয়, তাহলে সেটিকে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এমনকি পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের কথাও তুলে ধরেছেন তারা।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ রয়াটার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর চালানো হামলার পর ভারতের প্রতিক্রিয়া খুব শিগগিরই আসতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সামরিক প্রস্তুতি জোরদার করেছি। পরিস্থিতি যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে কৌশলগত কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’
এমএ//