কুড়িগ্রামে আলু বীজের দাম বৃদ্ধির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বীজ উৎপাদনকারী চাষীরা। মানবন্ধন শেষে কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএডিসি বরাবর একটি স্মারক লিপি জমা দেন চুক্তিবদ্ধ আলু বীজ সমিতির চাষীরা।
রোববার (৪ মে) দুপুরে কুড়িগ্রাম সদরের ত্রিমোহনী এলাকায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন অফিসের সামনে মানববন্ধন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান আলু বীজ সমিতির সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন,বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর আওতাভুক্ত কুড়িগ্রাম জোনের বীজ আলু উৎপাদনকারী চুক্তিভিত্তিক চাষীগণ বিগত ১০ (দশ) বৎসর যাবৎ বিএডিসিকে চুক্তিভিত্তিক বীজ আলু প্রদান করে আসছে। গত বছর আলুর বীজ বিএডিসি থেকে প্রতি কেজি গ্রেড ভেদে দাম নির্ধারিত ছিলো ৪৫/৪৬ টাকা।বিক্রি দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল গ্রেড ভেদে ৩৩/৩৪/৩৫ টাকা। এবছর বিএডিসি থেকে প্রতি কেজি বীজ ক্রয় মূল্য ছিল ৫৮/৬২/৭২ টাকা দরে।
ক্রয়কৃত বীজ আলু রোপন, শ্রমিক মজুরী, সার-সেচ, কীটনাশক ও অন্যান্য খরচ মিলে প্রতি কেজি বীজ উৎপাদন করতে খরচ হচ্ছে প্রায় ৩০ (ত্রিশ) টাকা। এর মধ্যে উৎপাদনকৃত সব আলু বীজ হিসাবে গন্য করা হয় না। অনেক আলু বাদ পরে। এক্ষেত্রে বীজ আলুর উৎপাদন খরচ, যে আলু খাওয়া হয় তার থেকে বেশি লাগে
বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন গ্রেড ভিত্তিক উৎপাদিত প্রতি কেজি আলু বীজের সর্বনিম্ন দাম দাম নির্ধারণ করেছে ২৬-২৮ টাকা। যা উৎপাদন খরচের তুলনায় নেহায়েত পক্ষে কম। এ দামে বিএডিসি আলী বীজ ক্রয় করলে চাষীরা মারাত্মকভাবে লোকসানের মুখে পড়বে।
যদি গত বছরের বীজ আলুর নির্ধারণকৃত মূল্যের চেয়ে এবারে ৫ (পাঁচ) টাকা বেশি দরে সর্বনিম্ন মোট ৪০ (চল্লিশ) টাকা কেজি নির্ধারন করা হয়। তাহলে চুক্তিভিত্তিক চাষিগণ লাভবান না হলেও ক্ষতির হাত থেকে কিছুটা রক্ষা পাবে।
এসময় উপস্থিত চুক্তিবদ্ধ আলু বীজ সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান, সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক তহিদুল ইসলাম, লুৎফর রহমানসহ অনান্য চাষীগণ।
আই/এ
