তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, ফিলিস্তিনি অবরুদ্ধ গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয়, বরং তারা একটি স্বাধীনতাকামী সংগঠন, যারা ফিলিস্তিনের মানুষ ও ভূখণ্ড রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় ক্ষমতাসীন একে পার্টির সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান তিনি। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপনে মুসলিম দেশগুলোকে একত্রে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে ইসরায়েলের পক্ষ নেওয়ায় পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলের জন্য পশ্চিমাদের চোখের পানি ফেলা প্রতারণার বহিঃপ্রকাশ।
তুরস্ক পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য। ন্যাটোভুক্ত অধিকাংশ দেশ হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। সম্প্রতি ন্যাটোর অন্যতম সদস্য ইতালির উপপ্রধানমন্ত্রী মাতিও সালভিনি বলেন, তারা (হামাস) সংঘাত প্রশমনে সাহায্য করেনি। এরদোয়ানের মন্তব্যে তার বক্তব্যের সমালোচনা উঠে এসেছে।
প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। এতে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। তুরস্ক এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। পাশাপাশি এর প্রতিক্রিয়ায় গাজা উপত্যকায় পাল্টা হামলা চালানোর ক্ষেত্রে ইসরায়েলকে সংযমী হতে অনুরোধ করেছে।
ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় হামাসনিয়ন্ত্রিত গাজায় ৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২ হাজার ৭০০–এর বেশি শিশু রয়েছে।
ফিলিস্তিনি প্রশাসনের একসময়ের প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়া বর্তমানে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। হামাসকে ১৯৯৭ সালে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকায় রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপের দেশগুলোও হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে।