আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
সাতক্ষীরার সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বন বিভাগ।  সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্লাস্টিকসহ ক্ষতিকর দ্রব্য সুন্দরবনসংলগ্ন নদীতে ব্যবহার বন্ধে এ উদ্যোগ নিয়েছে বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জ। শনিবার (৬ মে) সকাল থেকে বন বিভাগ মৌখিকভাবে পর্যটকদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। জানা গেছে, শনিবার বেলা ১১টা থেকে ট্রলারের পাশ দেয়া স্থগিত রাখে সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী ও মুন্সিগঞ্জ ফরেস্ট স্টেশন। তবে এ ব্যাপারে সন্ধ্যায় ট্রলার মালিক সমিতির সঙ্গে বনবিভাগের আলোচনা হবার কথা ছিল। কিন্তু ট্রলার মালিক সমিতি আলোচনায় আসেনি। পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা নূরুল আলম গণমাধ্যমে বলেন, প্রতিদিন বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন থেকে ২৫-৩০টি ট্রলারে ৪৫০-৫০০ পর্যটক সুন্দরবনে ভ্রমণে যান। এসব ট্রলার থেকে সুন্দরবন সংলগ্ন নদ–নদী ও বনে যাতে কোনো ধরনের প্লাস্টিক ফেলা না হয়, এ জন্য পর্যটক বহনকারী ট্রলার মালিকদের চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে একাধিকবার। তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ চিঠি দেয়া হয় গেলো ২৭ এপ্রিল। কিন্তু পর্যটকবাহী ট্রলার থেকে নদী ও বনে প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি পানির বোতল, প্লাস্টিকের পাত্রে খাবার, ওয়ান টাইম গ্লাস-প্লেট, চিপসের প্যাকেটসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর দ্রব্য ফেলা বন্ধ করা যাচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়ে শনিবার থেকে পর্যটকদের সুন্দরবনে ঢোকার অনুমতি দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক ইকবাল হোসাইন চৌধুরী জানান, শুক্রবার (৫ মে) পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ঘুরে প্রচুর প্লাস্টিক বর্জ্য নদী ও চরে ভেসে থাকতে দেখা গেছে। এগুলো সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করতে সাহায্য করে। ট্রলার মালিকরা দায়িত্ব নিয়ে যদি পর্যটকদের প্লাস্টিক বর্জ্য নদীতে ফেলা বন্ধ করতে পারেন তবে পুনরায় পাশ দেয়া হবে। তা না হলে তারা যতদিন আলোচনায় বসে সমাধানে না আসবে ততদিন বন্ধ থাকবে।    

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন সুন্দরবনে | পর্যটকদের | প্রবেশে | নিষেধাজ্ঞা