ভারতের নতুন পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পেশাদার কূটনীতিক বিক্রম মিশ্রি। বিনয়মোহন কোয়াত্রার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন চীনে নিযুক্ত ভারতের এই রাষ্ট্রদূত।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমসসহ একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার থেকেই তিনি পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয়মোহন কোয়াত্রার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই সরকারের কাছে ১৯৮৯ ব্যাচের ফরেন সার্ভিস অফিসার বিক্রম মিশ্রির নাম সুপারিশ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর পর অ্যাপয়েন্টমেন্টস কমিটি সেই সুপারিশ মেনে কোয়াত্রার উত্তরসূরি হিসাবে বিক্রমকে নিয়োগ দেয়।
রোববার(১৪ জুলাই) ভারতের পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য কোয়াত্রাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর। সোমবার পররাষ্ট্র সচিবের কার্যালয়ে বিক্রম মিশ্রিকে অভিনন্দনও জানান তিনি।
এদিন এক্স হ্যান্ডেলে জয়শংকর লেখেন, ‘আজ থেকে ভারতের বিদেশ সচিবের দায়িত্ব কাঁধে নিলেন শ্রী বিক্রম মিশ্রি। আগামিদিনে নতুন দায়িত্বের জন্য তাঁকে অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানায় বিদেশ মন্ত্রক।’
প্রসঙ্গত, বিক্রম মিশ্রির নাম এলেই সবার প্রথমে উঠে আসে চিনের প্রসঙ্গ। ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি চীনে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। ফলে বেজিংয়ের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি হোক বা কূটনীতি, সব কিছুই তাঁর নখদর্পণে। ২০২০ সালের ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় মুখোমুখি হয় ভারত ও চিনের সেনাবাহিনী। রক্তক্ষয়ী ওই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হন। এর পরই দুদেশের মধ্যে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অঅর ওই উত্তেজনা কমাতে দিল্লি ও বেইজিংকে আলোচনায় বসানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন বিক্রম মিশ্রি।
এমআর//