বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া শরিফুল ইসলাম শেহজাদ কি আদৌ হামলাকারী? মহারাষ্ট্র রাজ্য পুলিশের সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিভাগের রিপোর্ট অনুযায়ি, সাইফের বাড়ি থেকে হামলাকারীর যে ১৯টি ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া গিয়েছে, সেগুলোর একটির সঙ্গেও শরিফুলের আঙুলের ছাপের মিল নেই। এতে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য পুলিশ।
তবে মুম্বাই পুলিশের চার গোয়েন্দা কর্মকর্তা গেলো শনিবার কলকাতা আসায় তদন্তে রোমাঞ্চকর মোড় নিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনার তদন্তে তাঁরা কলকাতায় এসেছেন।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত বাংলাদেশি নাগরিক কোথা থেকে কীভাবে সিম কার্ড কেনেন, সেই তথ্য জানার জন্য কর্মকর্তারা কলকাতায় এসেছেন। কলকাতা পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এবিষয়ে কথা বলছেন তাঁরা।
রাজ্য পুলিশের একটি সূত্র বলছে, সিমটি শিলিগুড়ি থেকে কেনা হয়েছিল। কলকাতা পুলিশের মাধ্যমে শিলিগুড়ি পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন মুম্বাই পুলিশের তদন্তকারীরা। তাঁদের শিলিগুড়ি যাওয়ার সম্ভবনাও রয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সাইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায় মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে আগেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরায় জানা গিয়েছে, শেহজাদ শিলিগুড়িতে প্রবেশ করেছিলেন। পুলিশের দাবি, সাত মাস আগে মেঘালয়ের ডাউকি নদী পথ পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন এই শেহজাদ। তারপর প্রবেশ করেন শিলিগুড়িতে। সেখানে বেশ কয়েক দিন থেকে স্থানীয় খুকুমণি জাহাঙ্গির শেখের আধার কার্ডের তথ্য ভাঁড়িয়ে সিম কার্ড কিনেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে জানা যায়, ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে কয়েক বছর আগেই। এবার সেই বিষয়টি নিয়েই খতিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া বলছে, মুম্বাই পুলিশ আরও জানতে পেরেছে হামলার পর বাংলাদেশেই পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল শেহজাদ। হাওড়ার টিকিট কাটারও চেষ্টা করেছিল। যে সমস্ত এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল শেহজাদ, তাদেরকেও তদন্তের আওতায় আনছে পুলিশ।
এমআর//