ভারত বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করলেও নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য স্বাভাবিকভাবেই চলবে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
২০২০ সাল থেকে ভারত তার ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশকে তৃতীয় দেশে পণ্য পরিবহনের সুযোগ দিয়ে আসছিল। তবে সম্প্রতি দেশটির কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বোর্ড (সিবিআইসি) এ সংক্রান্ত আদেশ বাতিল করে দেয়।
ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের পেছনে কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘গেলো পাঁচ বছরে ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে এই ট্রান্সশিপমেন্ট ব্যবস্থার কারণে প্রচুর ভিড় ও জট তৈরি হয়। এতে আমাদের নিজস্ব রপ্তানিকারকদের সমস্যায় পড়তে হয়। পণ্য আটকে যাওয়া, ডেলিভারি দেরি হওয়াসহ খরচও বেড়ে যায়।‘
এ কারণেই ভারত এখন বাংলাদেশের জন্য এই বিশেষ ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা তুলে নিয়েছে বলে জানিয়েছন রণধীর জয়সওয়াল।
তবে বাংলাদেশের সঙ্গে নেপাল ও ভুটানের বাণিজ্য এই সিদ্ধান্তে কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ভারতের তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন ‘এইপিসি’ অনেক দিন ধরেই এ সুবিধা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিল।
সংগঠনটির চেয়ারম্যান সুধীর সেখড়ির মতে, টেক্সটাইল রপ্তানিতে বাংলাদেশ ও ভারত প্রতিদ্বন্দ্বী। বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় এখন ভারতীয় বিমানবন্দরগুলোতে ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের জন্য বেশি জায়গা তৈরি হবে।
তবে নয়াদিল্লিভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাংক গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের প্রধান অজয় শ্রীবাস্তব জানান, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নিয়ম অনুযায়ী, যেসব দেশ সমুদ্রপথে পণ্য পাঠাতে পারে না, তাদের জন্য মুক্ত ট্রানজিট নিশ্চিত করা প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্র বাধ্য।
এমএ//