লম্বা সময় পর দীর্ঘ আলাপচারিতায় দেখা গেল সাকিব আল হাসানকে। গত বছর জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। সেসময় সাকিব ছিলেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। আন্দোলন চলাকালীন সময় থেকেই দেশের বাইরে ছিলেন তিনি, এখন দেশে ফিরতে চেয়েও ফিরতে পারছেন না। তার বিরুদ্ধে আছে হত্যা মামলা ও একাধিক অভিযোগ।
সম্প্রতি একটি ইংরেজি দৈনিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সাকিব। সেখানে তিনি কথা বলেছেন নিকট অতীতে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে। ক্রিকেটার সাকিব থেকে রাজনীতির মঞ্চে আসা সাকিব- এই বাংলাদেশি তারকা মনে করেন সেসময় তার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।
সাকিব বলেন, ‘দেখুন, ব্যাপারটা হলো, রাজনীতিতে যোগ দেওয়া যদি আমার জন্য ভুল হয়ে থাকে, তবে ভবিষ্যতে যে কেউ রাজনীতিতে যোগ দিলে সেটাও ভুলই হবে। ডাক্তার, ব্যারিস্টার, ব্যবসায়ী- যে কেউ রাজনীতিতে যোগ দিলেই ভুল হতে পারে। রাজনীতিতে যোগ দেওয়া যেকোনো নাগরিকের অধিকার এবং যে কেউ তা করতে পারে। মানুষ আপনাকে ভোট দেবে কি দেবে না, সেটা তাদের ব্যাপার। আমি যখন যোগ দিয়েছিলাম, তখন আমি সঠিক ছিলাম বলে মনে করি এবং আমি এখনো বিশ্বাস করি যে আমি সঠিক ছিলাম। কারণ, আমার উদ্দেশ্য ছিল মাগুরার মানুষের জন্য কাজ করা। আমি অনুভব করেছি, আমি তাদের জন্য কিছু করতে পারি। আমি এটাও অনুভব করেছি যে মাগুরার মানুষ আমাকে চেয়েছিল।’
সাকিব বিশ্বাস করেন, তিনি যদি আবারও মাগুরা থেকে নির্বাচনে দাঁড়ান, তবে তিনিই জিতবেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমার নির্বাচনী এলাকায় একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে এবং আমি মনে করি না যে আমি যদি আবার দাঁড়াই, তবে অন্য কেউ জিতবে। সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই আমি যা করেছি, তাতে আমি কোনো ভুল দেখি না। যখন আমি নির্বাচনে দাঁড়াই, তখন আমি মাগুরার মানুষের সেবা করার সুযোগ চেয়েছিলাম। মানুষ আমাকে সেই সুযোগ দিয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত, আমি তাদের যেভাবে সেবা করতে চেয়েছিলাম, সেভাবে পারিনি। এটা আমি মেনে নিয়েছি।’
সাকিব তার ৬ মাসের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে বলেন, ‘আমি রাজনীতিতে মাত্র ছয় মাস ছিলাম। নির্বাচনের পর আমার মনে হয়, আমি তিন দিনের জন্য মাগুরা গিয়েছিলাম। আমি চার-পাঁচ মাস ধরে ক্রিকেট খেলেছি এবং একই পরিমাণ সময় দেশের বাইরে ছিলাম। ফলে আমি রাজনীতিতে ঠিকঠাক জড়িত হওয়ার সময়টাই- বা কোথায় পেলাম!’
এমএইচ//