কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে কালবৈশাখী ঝড়ে বড়ভিটা বাজারের ১৪টি দোকান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। অপর দিকে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছ ইউনিয়ন কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যুতের খুটি ভেঙে ও গাছপালা পরে কয়েক হাজার মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। এসময় বাড়িঘড়ের চাল উড়ে যাওয়ারও ঘটনা ঘটে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত ১১ টার দিকে আকস্মিকভাবে কুড়িগ্রাম জেলার কয়েকটি উপজেলার ওপর দিয়ে এ ঝড় বয়ে যায়।
ঝড়ে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ষষ্ঠ তলায় জানালার গ্লাস ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যায়। এ সময় রোগীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
আজ দুপুরে বড়ভিটা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ১৪ টি দোকান বিধ্বস্ত অবস্থায় আছে। এ সময় ব্যবসায়ীরা দোকানের ওপর পড়া গাছ সড়ানোর চেষ্টা করছেন। ব্যবসায়ী ও বাজারে থাকা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ১৪ দোকানের একটি মালামালও তারা রক্ষা করতে পারেনি। দোকানে থাকা ফ্রিজ টেলিভিশন সবকিছুই তছনছ হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত আইয়ুব আলী, হাফেজ আলী, জমসেদ আলী ও এমদাদুল হক জানান, শনিবার রাতে হঠাৎ কালবৈশাখীর ঝড়ে ৫০ বছরের বিশাল আকৃতির বট গাছটি তাদের দোকানের ওপর পড়ে দোকান লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। খবর পেয়ে ছুটে এসেও দোকানের কোন মালামাল রক্ষা করতে পারেননি।
স্থানীয় মহাসিন আলী মন্জু ও সুনীল চন্দ্র রায় জানান, বড়ভিটা বাজারের বট গাছটি ১৯৭৬ সালে রোপণ করেছে তৎকালীন বাজার কমিটি। গাছটি কারণে বড়ভিটা বাজারের মানুষজন গরম কালে অনেকটা প্রশান্তি পেতো। কিন্তু শনিবার রাতে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ দুমড়ে মুছড়ে পড়ে ১৪ টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোছা: জান্নাতি খাতুন জানান, আকস্মিক ঝড়ে বড়ভিটা বাজারের ৫০ বছরের পুরাতন বট গাছটি দুমরে মুচরে পড়ে বাজারের মোট ১৪টি দোকান বিধ্বস্ত হয়েছে। ২ টি দোকান আংশিক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা করে ক্ষতি পুরণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)কে জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেহেনুমা তারান্নুম জানান, রবিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সেই তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলে তাদের মাঝে দেয়া হবে।
আই/এ