বিনোদন

শিল্পীদের নামে হামলা-মামলার প্রতিবাদে যা বললেন অভিনয়শিল্পী সংঘ সভাপতি

বিনোদন ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

অভিনেতা সিদ্দিকের ওপর হামলা এবং একের পর এক অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ মামলায় সুবর্ণা মুস্তাফা, অপু বিশ্বাস, নুসরাত ফারিয়া, নিপুণসহ ১৭ জন অভিনয় শিল্পীর নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

এই ঘটনার পর অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে বলেছেন, এটি অবাস্তব, অপ্রত্যাশিত এবং বিপজ্জনক একটি প্রবণতা।

তিনি বলেন, এভাবে ঢালাওভাবে হত্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।  শিল্পীরা কখনো রাস্তায় গিয়ে মানুষকে গুলি করবে? আমাদের দেশের স্বনামধন্য শিল্পীরা কীভাবে এরকম অপরাধে জড়িত হতে পারে?

তিনি বলেন,  কেন ৩০০-৪০০ জনকে মামলার আসামি করা হচ্ছে? এখন এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে যেখানে শিল্পীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। যদি প্রমাণিত হয় যে, তারা এসব অপরাধে জড়িত নয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার জন্য দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তি হওয়া উচিত।

এমন ঢালাও মামলার ঘটনায় শিল্পীদের সামাজিক মর্যাদা এবং সম্মান নষ্ট হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এভাবে অভিনয় শিল্পীদের বিরুদ্ধে মামলা করার ফলে জনগণের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে। মানুষ ভাবছে শিল্পীরা খুনি হয়ে গেছে।  

আজাদ আবুল কালাম বলেন, শিল্পীরা তাদের জীবন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে আর সরকারের উচিত এ ধরনের মামলাগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।

গেলো মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সিদ্দিকের ওপর হামলা ও লাঞ্ছনার ঘটনায় মব ভায়োলেন্সের প্রসঙ্গও উঠেছে।  আজাদ আবুল কালাম বলেন, এই মব ভায়োলেন্সে রাজনীতি এবং সমাজের একটি অস্বাভাবিক অবস্থা তৈরি হচ্ছে।    

তিনি আরও বলেন, সিদ্দিকের ওপর হামলার ঘটনায় আইন হাতে তুলে নেওয়ার যে প্রবণতা চলছে, সেটি অতি বিপজ্জনক। একটি সমাজে যদি মব জাস্টিস চালু হয়ে যায়, তাহলে সেটি আগামীতে আরও বৃহত্তর সমস্যা তৈরি করবে। 

আজাদ আবুল কালাম বলেন, কোনো মানুষকে অপরাধী হিসেবে আখ্যা দেওয়ার আগে তার বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ থাকতে হবে।  যদি কেউ অভিযোগ করে, তা হলে সবার আগে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা উচিত।  মব ভায়োলেন্স সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।  সরকারের উচিত এটি প্রতিরোধ করা এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।

আজাদ আবুল কালাম আরও বলেন, শিল্পীরা সবসময় জনগণের পক্ষে কথা বলেছেন।  তারা সমাজের উন্নতির জন্য কাজ করেছেন। কিন্তু এখন তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে, যা সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করছে। সরকারকে এই ধরনের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, কাউকে অপরাধী বলার আগে প্রমাণ থাকা উচিত।  এই প্রক্রিয়া যদি অব্যাহত থাকে, তবে আমাদের সমাজে বিভক্তি আরও বাড়বে এবং তা গণ-অভ্যুত্থানের আদর্শের পরিপন্থি হবে।

 

এসকে// 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন হত্যাচেষ্টা মামলা | অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে