আন্তর্জাতিক

হামাস নেতা সিনওয়ার নিহত; জিম্মিদের মুক্তির আহবান পশ্চিমা বিশ্বের

বায়ান্ন আন্তর্জাতিক ডেস্ক

হামাস নেতা ইয়ািহিয়া সিনাওয়ার নিহত ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার পর এবার নিহত হলেন সংগঠনটি প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার। বুধবার (১৬ অক্টোবর) দক্ষিণ গাজা উপত্যকায়  ইসরাইল বাহিনীর বিরুদ্ধে এক সম্মুখ যুদ্ধে তিনি নিহত হয়েছেন। তার নিহতের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ পশ্চিমা বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ।

বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতএর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ৮২৮তম ব্রিগেডের অভিযানে দক্ষিণ গাজায় তিনজন নিহত হন সিনওয়ার। ওই তিনজনের মরদেহের পরিচয় শনাক্তের পর ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছু জানায়নি হামাস।

হামাসের এই শীর্ষ নেতার নিহতের ঘটনাকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে ইসরাইলের ঘনিষ্ট মিত্র্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, সিনওয়ারের মৃত্যু ইসরায়েলিদের জন্য স্বস্তির মুহূর্ত। এর মাধ্যমে গাজায় ক্ষমতায় থাকা গোষ্ঠীটি নেতৃত্ব শূন্য। ইয়াহিয়া সিনওয়ার লক্ষ্য অর্জনের পথে একটি অপ্রতিরোধ্য বাধা ছিলেন। সেই বাধা আর নেই। তবে আমাদের সামনে অনেক কাজ বাকি রয়েছে।

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক এক বিবৃতিতে সিনওয়ারকে নিষ্ঠুর খুনি এবং সন্ত্রাসী বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসরাইলের সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি হামাসের উচিত অস্ত্র সমর্পন করে যুদ্ধ বন্ধ করা।

একই ধরণের বার্তা দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ তিনি লিখেন, ইয়াহিয়া সিনওয়ার গত বছরের ৭ অক্টোবরের সন্ত্রাসী হামলা এবং বর্বর কাজের মাস্টারমাইন্ড। হামাসের হাতে এখনও বন্দি জিম্মিদের মুক্তি আহ্বান জানাচ্ছে ফ্রান্স।

ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি বলেছেন, আমার মনে হয় হামাসের সামরিক নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। ইসরায়েল হয়তো হামাস সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তার আত্মরক্ষায় গুলি চালিয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি আশা করি,  ইয়াহিয়া সিনাওয়া নিহতের ফলে গাজায় খুব শিগগিরই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, ৭ অক্টোবর নিরীহ মানুষ হত্যার জন্য দায়ী সিনওয়ারের নিহতের খবরে কোনো শোক নয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইসরায়েলিদের ওপর দমনপীড়নের প্রসঙ্গ টেনে গাজায় হতাহত বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের ওপর জোর দেয় দেশটি।

প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইরানে  থাকাবস্থায় তার বাসভবনে বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়া। ইসমাইল হানিয়াহ নিহতের পর তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন সিনওয়ার। গত বছরের ৭ অক্টোবর তাদের ভূখণ্ডে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে মনে করে ইসরাইল।

এমআর// 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ইয়াহিয়া সিনাওয়ার | হামাস