লাইফস্টাইল

রোজায় পানিশূন্যতা দূর করার উপায়

বায়ান্ন প্রতিবেদন

ছবি: সংগৃহীত

রমজান মাসে দীর্ঘ সময় পানি পান থেকে বিরত থাকতে হয়, যার ফলে শরীরে পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন হতে পারে। তাই সেহরি ও ইফতারের সময়ে সঠিকভাবে পানি ও তরল খাবার গ্রহণ করা জরুরি, যাতে ২৪ ঘণ্টার পানি চাহিদা পূর্ণ হয়। তবে, একসাথে বেশি পানি পান না করে ধাপে ধাপে পানি পান করা উচিত। সেই সাথে ফলমূলসহ অন্যান্য তরল খাবারও খাওয়া উচিত, যাতে করে শরীরে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ হয়।

রোজায় পানিশূন্যতার লক্ষণ: অতিরিক্ত তৃষ্ণা লাগা,গলা শুকিয়ে যাওয়া,ক্লান্তি বা দুর্বলতা অনুভূত হওয়া,মুখ শুকিয়ে যাওয়া,বুক ধড়ফড় করা, মাথাব্যথা বা মূর্ছা যাওয়া। 

পানিশূন্যতা কমাতে যেসব দিকে খেয়াল রাখতে হবে:

১. ইফতারে পরিমাণমতো পানি পান করুন। এই সময় খেতে পারেন ফল, শসা, খেজুর, দই, দই-চিড়া, কলা-দই-চিড়া, লাচ্ছি, লাবাং, মাঠা, বিটের জুস, ডাবের পানি, লেবু-পানি, আখের গুড়ের শরবত, তরমুজ, স্ট্রবেরি স্মুদি, বেলের শরবত ইত্যাদি। এসব পানীয় শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করবে।

২. ইফতারে অতিরিক্ত চিনি বা লবণযুক্ত খাবার পরিহার করুন এবং চা বা কফির পরিবর্তে জিরা-পানি বা আদা-পানি পান করুন।

৩. ইফতার ও সাহরির মাঝে যতটুকু সময় জেগে থাকবেন, অল্প অল্প করে পানি পান করুন, এতে শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় থাকবে।

৪.সেহরিতে চিয়া সিড ভেজানো পানি,তোকমার শরবত অথবা ইসবগুল মিশিয়ে এক গ্লাস দুধ পান করুন। চিয়া সিড শরীরে পানি ধরে রাখতে সহায়তা করবে। সেহরিতে সুষম এবং উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন, যেমন ডিম, মাছ, মাংস, দুধ, কলা, ভাত, ১ কাপ ননি তোলা বা লো ফ্যাট দুধ বা টকদই। এসব খাবার শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

৫. সেহরিতে সুষম এবং উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন, যেমন ডিম, মাছ, মাংস, দুধ, কলা, ভাত, ১ কাপ ননি তোলা বা লো ফ্যাট দুধ বা টকদই। এসব খাবার শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

এইভাবে সেহরি ও ইফতার সময় সঠিক খাবার এবং পানীয় গ্রহণের মাধ্যমে রোজায় পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

এসকে// 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন রমজান মাসে | পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন