ইরানের জ্বালানি খাতে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন। তেহরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে আসছে শনিবার ওমানের মাস্কাটে যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের চতুর্থ দফার আলোচনার আগেই এ নিষেধাজ্ঞা দিলো ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।
স্থানীয় সময় বুধবার(৩০ এপ্রিল) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় ইরানি তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত সাতটি প্রতিষ্ঠান এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য মতে, এই সাত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পাঁচটি সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক।
এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে চীনের মতো দেশগুলোর কাছে ইরানের তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল রপ্তানি ঠেকাতে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘সর্বোচ্চ চাপ’ কৌশল আরও জোরালো হলো।
নিষেধাজ্ঞা আরোপের যুক্তি তুলে ধরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ইরান যখন তার তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল রপ্তানির মাধ্যমে সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক, অস্থিতিশীল কার্যক্রম এবং আঞ্চলিক মিত্রদের অর্থায়ন চালিয়ে যাচ্ছে, তখন আমরা চুপ করে থাকতে পারি না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ এমন সময় আসলো যখন ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল ওমানে তাদের চতুর্থ দফা আলোচনায় বসতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর আগের বৈঠকগুলো নিয়ে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সদিচ্ছা নিয়ে আলোচনা শুরু করলে একটি চুক্তি হতে পারে।
যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে পরিত্যক্ত চুক্তিটির প্রতিস্থাপনের জন্য একটি ‘নতুন চুক্তি’ করতে কূটনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছেন, একই সঙ্গে তিনি ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি পুনর্বহাল করেছেন এবং আলোচনা ব্যর্থ হলে সামরিক পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছেন।
এমআর//