আগে বয়স্ক ব্যক্তিদের আর্থরাইটিসের ব্যথা কাবু করতো। কিন্তু এখন অল্পবয়সিদের শরীরেও বাসা বাঁধছে এই রোগ। দীর্ঘ ক্ষণ অফিসের চেয়ারে বসে কাজ করা, শরীরে ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন ডি-র ঘাটতি এই রোগকে শরীরে আরও জাঁকিয়ে বসতে সাহায্য করছে। আপাতভাবে রিউমাটয়েড আর্থরাইটিসকে অনেকে শুধু হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা বলেই মনে করেন। তবে এই অসুখ শুধু তা নয়। এর জেরে হাড়ে ব্যথার পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে।
রিউমাটয়েড আর্থরাইটিস হলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এই রোগের জেরে হাড়ে প্রদাহ ও ব্যথা বাড়ে। হাত, কব্জি, পায়ে যন্ত্রণা হতে থাকে। তবে রোগ অতিরিক্ত পর্যায় পৌঁছলে চোখ, ত্বক, ফুসফুস, হৃদ্যন্ত্র ও রক্তনালিতে সমস্যা হয়। এই অসুখ রাতারাতি কমিয়ে ফেলা যায় না। কিন্তু তাড়াতাড়ি ধরা পড়লে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে সমস্যা। তবে তার জন্য চিনতে হবে রোগের উপসর্গ।
কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হতে হবে?
১) অতিরিক্ত ক্লান্তি, খাওয়ার ইচ্ছে কমে যাওয়া মানেই কিন্তু করোনা বা ক্যানসার নয়। অন্য অসুখেরও ইঙ্গিত দেয় এই সমস্যা। তার মধ্যে রয়েছে রিউমাটয়েড আর্থরাইটিসও।
২) শরীরের ভিতরে নানা রোগ জমে থাকতে পারে। তা জানান দেয় জ্বর। মাঝেমাঝেই বিনা কারণে জ্বর এলে, বা ভিতরে জ্বরজ্বর ভাব থাকলে সাবধান হওয়া ভাল। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দেখুন রিউমাটয়েড আর্থরাইটিস শরীরে বাসা বাঁধল নাকি?
৩) হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়াও এই রোগের আরও একটি লক্ষণ। হাত এবং পায়ের জোরও কমে যেতে পারে। কোনও কিছু ধরতে গেলে সমস্যা হলেও সাবধান।
৪) রিউমাটয়েড আর্থরাইটিস মানেই যে প্রচণ্ড ব্যথা হবে, এমন নয়। অনেক সময়েই এই অসুখ শুরু হয় কম ব্যথা দিয়েই। ফলে শুরুতেই সচেতন হওয়া জরুরি। গাঁটে সংক্রমণ হলে সেই স্থান ফুলে গিয়েও ব্যথা হয়।
৫) এ সবের পাশাপাশি, ওজন কমতে শুরু করলেও সতর্ক হতে হবে। খুব দ্রুত ওজন ঝরতে শুরু করলে তা-ও এই অসুখেরই ইঙ্গিত দেয়।