দীর্ঘ ১৫ মাসের ইসরাইলি বরবর্তা ও ৪৬ হাজারের অধিক প্রাণের বিনিময়ে অবশেষে রোববার থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে ইসরাইল-হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তি। ইসরাইলের মন্ত্রিসভা শুক্রবার ছয় ঘণ্টার দীর্ঘ বৈঠক শেষে গভীর রাতে চুক্তিটি অনুমোদন করে।
রোববার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা (বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টা) থেকে কার্যকর হবে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি।
চুক্তি অনুযায়ী, ছয় সপ্তাহের প্রথম ধাপেই হামাস ৩৩ ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। অন্যদিকে ইসরাইলও তাদের জেলে আটক কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেবে।
এই সময়ের মধ্যে ইসরাইলি বাহিনীকে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা ছাড়তে হবে। আর বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা পাবে বাড়ি ফেরার অনুমতি। এই সময়ে ত্রাণবাহী লরিকে গাজায় ঢোকারও সুযোগ দেবে ইসরাইল।
চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরু হবে প্রথম ধাপের ১৬তম দিনে। এই ধাপেই মুক্তি পাবে পুরুষ ইসরাইলি সেনারা। তৃতীয় ও শেষ ধাপে হবে গাজার পুনর্গঠন, যা শেষ হতে লাগবে কয়েক বছর।
তবে হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি স্থায়ী না হলে এবং ইসরাইলি বাহিনী গাজা না ছাড়লে তারা প্রথম ধাপের পর আর কোনো জিম্মিকে ছাড়বে না।
চুক্তির অন্যতম মধ্যস্থতাকারী কাতার বলছে, প্রথম ধাপে যে জিম্মিরা মুক্তি পাচ্ছেন তাদের মধ্যে বেসামরিক নারী, শিশু, নারী সেনা, বয়স্ক ব্যক্তি, অসুস্থ ও আঘাতপ্রাপ্ত বেসামরিকরা রয়েছেন।
এদিকে ইসরাইল জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন রোববারই তিন জিম্মির মুক্তির ব্যাপারে আশাবাদী। পরবর্তী ৪২ দিনে নিয়মিত বিরতিতে এরকম ছোট ছোট দলে বাকিরাও মুক্তি পাবে।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর এক হাজার ২০০ ইসরাইলি নাগরিক মারা যান। এছাড়া ২৫১ জনকে জিম্মি করে সংগঠনটি। এই হামলার পর হামাসকে নিমুর্ল করতে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরাইল।
এনএস/