প্রথমবারের মতো গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। হামাসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য এই আলোচনার বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরে মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনের ওভাল অফিসে বিভিন্ন নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার সময় ট্রাম্প জানান, ইসরাইলি সব বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতেই এই আলোচনা। ‘এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা ইসরাইলকেই সাহায্য করছি, কেননা আমরা ইসরাইলি বন্দিদের বিষয়ে কথা বলছি।’
ট্রাম্প সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘আমরা কোনকিছুই হামাসের কথামত করছি না। আমরা তাদের অর্থ দিচ্ছি না। আপনাকে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে। অর্থ প্রদান ও আলোচনার মধ্যে পার্থক্য আছে। আমরা হামাসকে বের করে দিতে চায়।’
ইসরাইলি বন্দিরা তাঁকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি চালিয়ে যেতে আহ্বান জানিয়েছেন বলে এদিন ট্রাম্প জানান।
তবে ইসরাইলি এক সরকারী কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, হামাসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এই আলোচনার ব্যাপারে ইসরাইল অনেকটা অখুশি।
গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তিন-পর্যায়ের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে আগে হামাসের সঙ্গে যত আলোচনা হয়েছে, তার সবই হয়েছে কাতার ও মিসরের সরাসরি মধ্যস্থতায়।
এনএস/