ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে চলছেই। গেলো ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন আরও ৪০ ফিলিস্তিনি এবং আহত ১২৫ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া আক্রমণে মৃতের সংখ্যা ৫২ হাজার ৫৪৫ জনে পৌঁছেছে। আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৯১ জন।
রোববার (০৪ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আনাদোলু’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার মানুষদের জন্য এখন কোনও নিরাপদ স্থান নেই। আকাশে যুদ্ধবিমান স্থলে সেনা অভিযানে চারদিক থেকে আক্রান্ত হচ্ছে গাজা। ত্রাণ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ, ফলে গাজার বাসিন্দারা বঞ্চিত হচ্ছেন খাদ্য, পানি এবং চিকিৎসাসেবা থেকে। গাজায় ইসরাইলের সামরিক অভিযান ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের একটি হামলার প্রতিক্রিয়ায় শুরু হয়। দীর্ঘ ১৫ মাসের মারাত্মক যুদ্ধের পর এ বছরের ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল ইসরাইল। তবে মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে গাজায় বিমান হামলা পুনরায় শুরু হয়। ইসরাইল জানিয়েছে, গাজায় বর্তমানে ৫৯ জন ইসরাইলি জিম্মি রয়েছে এবং হামাসকে নিরস্ত্র না করলে কোনো চুক্তি হতে পারে না।
ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি পুনরায় কার্যকর করার চেষ্টা করছে মিশর এবং কাতার। তবে উভয় পক্ষই নিজেদের মূল দাবি থেকে সরে আসেনি।
ইসরাইল দাবি করছে, গাজায় হামাসের শক্তি ভেঙে না পড়লে চুক্তি সম্ভব নয়। অন্যদিকে হামাস বলছে, তাদের মূল দাবি হলো স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার। হামাসের মতে, শুধুমাত্র এই শর্তে বন্দি বিনিময় চুক্তি হবে।
নেতানিয়াহু প্রশাসন জানিয়েছে, গাজার শাসন থেকে হামাসকে উৎখাত করা তাদের প্রধান লক্ষ্য এবং সেই লক্ষ্যে তারা আরও সামরিক অভিযান চালাবে।
এসকে//