লাইফস্টাইল

সানস্ক্রিন ক্যাপসুল: ত্বকের সুরক্ষায় রেভলিউশন, নাকি ট্রেন্ডের অতিরিক্ত?

বায়ান্ন প্রতিবেদন

ছবি: সংগৃহীত

ত্বককে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির (UV) ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করার জন্য সানস্ক্রিন এখন এক অপরিহার্য উপাদান।  তবে জানেন কি, সম্প্রতি বাজারে সানস্ক্রিন ক্যাপসুলের নতুন একটি ইনোভেটিভ প্রডাক্ট এসেছে? তবে প্রশ্নটি হল এই ক্যাপসুলগুলি আদৌ কি সানস্ক্রিন ক্রিমের যোগ্য প্রতিস্থাপন হতে পারে নাকি শুধুমাত্র এটি একটি ট্রেন্ড? তাহলে এর পেছনের গোপন তথ্য জেনে নেয়া যাক।

বাজারে বিভিন্ন ধরনের সানস্ক্রিন উপাদান পাওয়া যায় ক্রিম, জেল, লোশন ও স্প্রে।  তবে এখন সানস্ক্রিন ক্যাপসুলও সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে।  এই ক্যাপসুলগুলির মধ্যে সাধারণত নিকোটিনামাইড (ভিটামিন বি৩) এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ নির্যাস, যেমন পলিপোডিয়াম লিউকোটোমোস পাওয়া যায়, যা ত্বককে সুরক্ষা দেয়ার জন্য পরিচিত। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সানস্ক্রিন ক্যাপসুলগুলো ত্বক সুরক্ষার ক্ষেত্রে পরিপূরক হিসেবে কাজ করতে পারে তবে এর কার্যকারিতা এখনও সীমিত। 

এসপিএফ ৩ থেকে ৫ কী ভুল হচ্ছে? 

সানস্ক্রিন ক্যাপসুলগুলির এসপিএফ (সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর) সাধারণত ৩ থেকে ৫ এর মধ্যে থাকে, যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি থেকে সুরক্ষা দিতে কার্যকর নয়।  যেখানে বিশেষজ্ঞরা প্রস্তাব দেন, এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি ব্যবহার করার জন্য।  সানস্ক্রিন ক্যাপসুলের এসপিএফ এত কম হওয়ায় এটি যথেষ্ট নিরাপত্তা দিতে পারবে না।  এর মানে সূর্য থেকে যথাযথ সুরক্ষা পেতে শুধু ক্যাপসুলে ভরসা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

ভিটামিন বি৩ এবং ত্বক: 

যদিও ভিটামিন বি৩ (নিকোটিনামাইড) সাপ্লিমেন্ট প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে নন-মেলানোমা ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।  তবে সানস্ক্রিন ক্যাপসুলের অন্যান্য উপাদানগুলি এখনও সম্পূর্ণভাবে প্রমাণিত হয়নি।  তাছাড়া অতিরিক্ত সানস্ক্রিন ক্যাপসুল গ্রহণ করতে গিয়ে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা দেখা দিতে পারে।  যেমন অস্বস্তি বা পেটের সমস্যা।  তাই এগুলো শুধুমাত্র পরিপূরক হিসেবে ব্যবহার করা উচিত, সানস্ক্রিন ক্রিম বা লোশন নয়।

ক্যাপসুল: 

এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, সানস্ক্রিন ক্যাপসুল কি কাজে আসতে পারে? সানস্ক্রিন ক্যাপসুলগুলি কিছু বিশেষ ত্বক সমস্যাযুক্ত ব্যক্তির জন্য সহায়ক হতে পারে, যেমন আলোক সংবেদনশীল একজিমা, লুপাস, বা অ্যাক্টিনিক কেরাটোসিস।  তবে সাধারণ ত্বক সুরক্ষার জন্য এটি কোনওভাবেই ঐতিহ্যবাহী সানস্ক্রিনের প্রতিস্থাপন হতে পারে না।

বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, দিনে দু' থেকে তিন ঘণ্টা অন্তর এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি সানস্ক্রিন পুনরায় লাগানো উচিত।  এছাড়া টুপি পরা, ইউভি ব্লকিং সানগ্লাস ব্যবহার করা এবং বাইরে যাওয়ার সময় লম্বা হাতার পোশাক পরার কথাও বলেন।  সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষা পেতে এই নিয়মগুলো অনুসরণ করা সবচেয়ে ভালো।

সানস্ক্রিন ক্যাপসুল হয়তো ত্বকের সুরক্ষায় একটি নতুন মাত্রা এনে দিতে পারে, তবে এটি কখনই সানস্ক্রিনের বিকল্প হতে পারে না।  ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় একমাত্র সঠিক পথ হল সানস্ক্রিনের নিয়মিত ব্যবহার এবং সূর্যের সরাসরি তীব্র রশ্মি থেকে রক্ষা পেতে সঠিক পোশাক ও অন্যান্য সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ। 

এসকে// 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ত্বক | সানস্ক্রিন