বর্তমান সময়ের অন্যতম আতঙ্কের নাম ‘হার্ট অ্যাটাক’। আগে যেখানে বয়সের ছাপ পড়লেই হৃদরোগ নিয়ে দুশ্চিন্তা করতেন মানুষ আজকাল সেখানে তরুণ-তরুণীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন এ প্রাণঘাতী ঝুঁকিতে। কাজের চাপ, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, খাদ্যাভ্যাস ও মানসিক স্ট্রেস সব মিলিয়ে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। আশঙ্কার বিষয় হলো অনেক সময় শরীর কিছু ‘সিগন্যাল’ দিলেও তা আমরা অজান্তে এড়িয়ে যাই। তবে সময়মতো সেটি চিহ্নিত করতে পারলে রক্ষা করা যেতে পারে একটি জীবন। হার্ট অ্যাটাকের কিছু লক্ষণ রয়েছে আর সেটি যেভাবে বোঝা যাবে ।
বুকে তীব্র ব্যথা
হার্ট অ্যাটাকের সবচেয়ে প্রচলিত লক্ষণ হলো বুকে ব্যথা। সাধারণত বুকের মাঝখানে একটি চাপ চাপ অনুভূতি শুরু হয় , যা ধীরে ধীরে চোয়াল , বাম কাঁধ বা হাতের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। ব্যথা যদি কয়েক মিনিট স্থায়ী হয় বা বারবার ফিরে আসে , তবে তা মোটেও অবহেলা করার মতো নয়। দ্রুত চিকিৎসা নেওয়াই শ্রেয়।
হঠাৎ শ্বাসকষ্ট
যদি আগে থেকে শ্বাসকষ্টের কোনো ইতিহাস না থাকে , কিন্তু হঠাৎ করেই দম নিতে কষ্ট হয় তাহলে তা হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাভাস। অল্প হাঁটাহাঁটিতে দম উঠে যাওয়া , নিঃশ্বাস নিতে বাধা বা ফুসফুসে পানি জমে যাওয়ার মতো উপসর্গগুলো হৃদরোগের ইঙ্গিত দিতে পারে।
অস্বাভাবিক ঘাম
পরিশ্রম ছাড়াই অতিরিক্ত ঘাম হলে বিষয়টিকে হালকা ভাবার সুযোগ নেই। বিশেষত ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুতর সতর্ক সংকেত। হঠাৎ শরীর খারাপ লাগা, বুক ধড়ফড় করা বা ঠান্ডা ঘাম হওয়া সবই হতে পারে আসন্ন হার্ট অ্যাটাকের পূর্বচিহ্ন।
অনিয়মিত হৃদস্পন্দন
বেশি দৌড়ঝাঁপ করলে বা উত্তেজনায় নাড়ির গতি বাড়ে , এটা স্বাভাবিক। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই যদি পালস রেট হঠাৎ বেড়ে যায় বা ধীরে আসে , তা হলে সেটি চিন্তার বিষয়। অনেক সময় হার্ট অ্যাটাক শুরুর আগেও এমন অনিয়ম দেখা দেয়।
সব লক্ষণই যে সবসময় একসঙ্গে দেখা দেবে এমনটি নয়। কখনো কখনো শরীর নীরবভাবে বার্তা দেয়। তাই প্রতিটি পরিবর্তনের প্রতি মনোযোগী হওয়া জরুরি। এ বিষয়ে সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ করলেই বিপদ অনেকাংশে এড়ানো সম্ভব।
এসকে//