স্বাদে মুখরোচক আর গুণে উপকারী ছোলা এমন এক উপাদান , যা স্বাস্থ্য সচেতনদের তালিকায় সব সময় শীর্ষে। কিন্তু প্রশ্ন একটাই , জলে ভেজানো ছোলা ভালো নাকি ভাজা ছোলা বেশি উপকারী? আসলে দুটোই পুষ্টিকর। তবে কোনটা আপনার শরীরের জন্য সঠিক তা নির্ভর করে সময়, প্রয়োজন এবং শরীরের অবস্থা অনুযায়ী। পুষ্টিবিদদের মতে , ভেজানো ছোলা সকালে খালি পেটে আর ভাজা ছোলা বিকেলে শরীরচর্চার পর খেলে দুইয়ের গুণ একসঙ্গে পাওয়া যায়।বিশেষত সারা রাত ভিজিয়ে রাখা ভেজানো ছোলা সকালে খালি পেটে খেলে বহু গুণে উপকার পাওয়া যাবে। দুইরকম ছোলায় কী কী গুণ আছে এবং কোনটা কবে বেছে নেবেন জেনে নেয়া যাক।
১. ভেজানো ছোলার উপকারিতা:
সকালের স্ন্যাকস হিসেবেই হোক বা খালি পেটে পুষ্টির জোগান , ভেজানো ছোলা সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি।
হজমে সহায়ক
গ্যাস, অম্বল বা বদহজমের সমস্যা দূর করে।
ভরপুর পুষ্টিগুণ
এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ ও প্রাকৃতিক এনজাইম।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে
গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযুক্ত।
অন্ত্রের যত্নে কার্যকরী
শরীর পুষ্টি শোষণ করতে পারে বেশি, গাট হেল্থ ভালো রাখে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ভিটামিন C ও জিঙ্কে ভরপুর।
হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো
ফাইবার বেশি, ফ্যাট কম; কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।
২. ভাজা ছোলার উপকারিতা:
যারা ব্যস্ত জীবনে দ্রুত পুষ্টি চান বা স্ন্যাকস হিসেবে কিছু খুঁজছেন তাদের জন্য ভাজা ছোলা দারুণ চয়েস।
প্রোটিনে ভরপুর
শরীরচর্চার পর পেশির পুনর্গঠনে সহায়ক।
দীর্ঘস্থায়ী খাবার
সংরক্ষণে ঝামেলা নেই, রোজকার ব্যাগেও রাখতে পারেন।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
ফাইবারের কারণে ক্ষুধা কমে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
শক্তি বাড়ায়
তৎক্ষণাৎ এনার্জির জন্য দারুণ কার্যকর।
শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
ধীরে ধীরে শক্তি দেয়, ফলে ব্লাড সুগার বাড়ে না হঠাৎ।
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ
শুকনো ভাজায় কিছু উপকারী উপাদান আরও সক্রিয় হয়।
যদি খাবার সহজে হজম , রোগপ্রতিরোধ ও ভিটামিনে ভরপুর খাদ্য চান তাহলে ভেজানো ছোলা বেছে নিন। আর যদি দরকার হয় উচ্চ প্রোটিন , এনার্জি বুস্টার এবং লং-লাস্টিং স্ন্যাকস তবে ভাজা ছোলা-ই হবে সেরা। সবচেয়ে ভালো ফল মিলবে যদি দু’টোকেই খাবার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে সময় ও প্রয়োজন বুঝে খাওয়া যায়।
এসকে//