Connect with us

বাংলাদেশ

আজ বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদকপ্রাপ্তির ৫০ বছর

Avatar of author

Published

on

আজ ২৩ মে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির ৫০তম বছর। ১৯৭৩ সালের এ দিনে বঙ্গবন্ধুর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে পদক তুলে দেওয়া হয়।

১৯৭১ সালে অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। এর মাত্র দুবছর পরে বিশ্বশান্তি পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ পদকে আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতি প্রদান করে। বিশ্বশান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিটির সভায় বিশ্বের ১৪০টি দেশের প্রায় ২০০ সদস্যের উপস্থিতিতে ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধুর জীবনদর্শন আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়কত্বের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি পদক প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্বশান্তি পরিষদ ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর পদক প্রাপক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নাম ঘোষণা করে। আর পরের বছর ২৩ মে, এশীয় শান্তি সম্মেলনের এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে সেই পদক বঙ্গবন্ধুকে পরিয়ে দেন পরিষদের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল রমেশচন্দ্র।

সেই অনুষ্ঠানে রমেশচন্দ্র বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলার নন, তিনি বিশ্বের এবং তিনি বিশ্ববন্ধু।’ স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো রাষ্ট্রনেতার সেটিই ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক পদক লাভ।

বঙ্গবন্ধু এ পদকপ্রাপ্তির আগে কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো, ভিয়েতনামের সংগ্রামী নেতা হো চি মিন, চিলির গণ-আন্দোলনের নেতা সালভেদর আলেন্দে, ফিলিস্তিনের জনদরদি নেতা ইয়াসির আরাফাত প্রমুখ এ পদকপ্রাপ্ত হন। মূলত সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদ বিরোধিতা এবং মানবতা ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, তারা এ পদকে ভূষিত হয়ে আসছিলেন। ১৯৫০ সাল থেকে এ পদক প্রদান করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের কালপর্বে ভারত-সোভিয়েত শান্তি মৈত্রী ও সহযোগিতা চুক্তি ১৯৭১ এবং বাংলাদেশ-ভারত শান্তি, মৈত্রী ও সহযোগিতা-চুক্তি ১৯৭২, বাংলাদেশের মৈত্রী-সম্পর্কে এ উপমহাদেশে উত্তেজনা প্রশমন ও শান্তি স্থাপনের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু।

Advertisement

এছাড়াও বঙ্গবন্ধু সরকারের জোট নিরপেক্ষ নীতি অনুসরণ এবং শান্তি ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান গ্রহণের নীতির ফলে বাংলাদেশ বিশ্ব সভায় একটি ন্যায়ানুগ দেশের মর্যাদা লাভ করে। সবার প্রতি বন্ধুত্বের ভিত্তিতে বৈদেশিক নীতি ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘পৃথিবীর বৃহত্তম শক্তি যে অর্থ ব্যয় করে মানুষ মারার অস্ত্র তৈরি করছে, সেই অর্থ গরিব দেশগুলোকে সাহায্য দিলে পৃথিবীতে শান্তিপ্রতিষ্ঠা হতে পারে।’

সেই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে শান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র বিশ্বশান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিটির সভায় বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলন এবং বিশ্বশান্তির সপক্ষে বঙ্গবন্ধুর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদানের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।

বাংলায় এ পদকের নাম ‘জুলিও কুরি’ বলা হলেও এর ফরাসি উচ্চারণ ‘জোলিও ক্যুরি’। ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী জ্যঁ ফ্রেডেরিক জোলিও ক্যুরি ১৯৫৮ সালে মৃত্যুবরণ করার পর, তারই নামানুসারে বিশ্বশান্তি পরিষদ ১৯৫৯ সাল থেকে তাদের শান্তি পদকের নাম রাখে ‘জোলিও ক্যুরি’। ফ্রেডেরিকের মূল নাম ছিল জ্যঁ ফ্রেডেরিক জোলিও। ফ্রেডেরিকের স্ত্রী ইরেন ক্যুরি। তিনিও বিজ্ঞানী। বিয়ের পর ফ্রেডেরিক ও ইরেন উভয়ে উভয়ের পদবি গ্রহণ করেন এবং একজনের নাম হয় জ্যঁ ফ্রেডেরিক জোলিও ক্যুরি এবং অন্যজনের নাম ইরেন জোলিও ক্যুরি। পরে যৌথভাবে তারা নোবেল পুরস্কারও লাভ করেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্রেডেরিক জোলিও ক্যুরি শুধু বিজ্ঞানী হিসেবেই কাজ করেননি, তিনি গেরিলা বাহিনীতে যোগ দিয়ে এবং তাদের জন্য হাতিয়ার তৈরি করেও অবদান রাখেন। তার অবদানের কারণেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিসমাপ্তি সহজতর হয়। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এ যুদ্ধ পরিসমাপ্তি ছিল খুবই জরুরি। তিনি নিজে বিশ্বশান্তি পরিষদের সভাপতিও ছিলেন।

বিশ্বশান্তি ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবনের মূলনীতি। ১৯৫৬ সালের ৫–৯ এপ্রিল স্টকহোমে বিশ্বশান্তি পরিষদের সম্মেলনেও অংশ নেন বঙ্গবন্ধু। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিশ্বশান্তি আমার জীবনের মূলনীতি। নিপীড়িত, নির্যাতিত, শোষিত ও স্বাধীনতাকামী সংগ্রামী মানুষ, যেকোনো স্থানেই হোক না কেন, তাদের সঙ্গে আমি রয়েছি। আমরা চাই বিশ্বের সর্বত্র শান্তি বজায় থাকুক, তাকে সুসংহত করা হোক।’

Advertisement

ছাত্রাবস্থা থেকেই বিশ্বশান্তিতে বঙ্গবন্ধুর আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে তিনি দীর্ঘদিন কারাভোগ করে মুক্তি পেয়ে সে বছরই অক্টোবরে চীনে অনুষ্ঠিত ‘পিস কনফারেন্স অব দ্য এশিয়ান অ্যান্ড প্যাসিফিক রিজিওন্স’ এ যোগ দেন বঙ্গবন্ধু। এ সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি প্রাসঙ্গিকভাবে অন্য ৩৭টি দেশ থেকে আগত শান্তিকামী নেতাদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেছিলেন।

বিশিষ্টজনদের মতে, ১৯৭১ সালে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির মুক্তিযুদ্ধ শুধু স্বাধীনতা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের লড়াই ছিল না। এ লড়াই ছিল দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের আন্তর্জাতিক মোড়ল যুদ্ধবাজ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে শান্তিকামী মানুষের লড়াই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সেই শান্তির লড়াইয়ের প্রধান নেতা।

ফলে, বিশ্বশান্তি পরিষদ ১৯৭২ সালের ২৩ মে অত্যন্ত ন্যায্য কারণেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশ্বশান্তি এবং স্বাধীনতার লড়াইয়ে অবদান রাখার জন্য জুলিও কুরি শান্তি পদকের মতো আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত করে। বঙ্গবন্ধুর এ জুলিও কুরি শান্তি পদকপ্রাপ্তি তাই গোটা বাঙালি জাতির জন্যও বিশ্ব দরবারে এক বিরাট সম্মানের বিষয়।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

জাতীয়

বিএসটিআইতে হালাল সার্টিফিকেটের মূল্যায়ণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

Avatar of author

Published

on

‘বিএসটিআই হতে প্রদানকৃত হালাল সার্টিফিকেটের মূল্যায়ণ’ শীর্ষক স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বিএসটিআই হতে প্রাপ্ত হালাল সনদ গ্রহণ করে বিদেশে পণ্য রপ্তানিতে কোন বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন কি-না সে বিষয়ে মতামত নেয়ার জন্য এ সভা আয়োজন করা হয়।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বিএসটিআইর প্রধান কার্যালয়ে বিএসটিআইর মহাপরিচালক (গ্রেড-১) এস এম ফেরদৌস আলমের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তারা জানান, বিএসটিআই এসএমআইআইসি (SMIIC) এর সদস্য এবং এসএমআইআইসি মান বাংলাদেশ মান (বিডিএস) মান হিসেবে গৃহিত করে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসরণ করে একাধিক অডিডের মাধ্যমে পূঙাখানুপূঙ্খ বিশ্লেষণ করে হালাল সনদ প্রদান করে। বিএসটিআই’র হালাল সনদ গ্রহণ করে রপ্তানিতে কোন বাধার সম্মুখিন হচ্ছেন না বলেও তারা জানান।

উল্লেখ্য, বিএসটিআই হতে প্রদানকৃত হালাল সার্টিফিকেটের মূল্যায়ণ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন এফিবিসিসিআই’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ আমীন হেলালী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোঃ আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা চেম্বারের পরিচালক এম মোসাররফ হোসেন, বিএসটিআই’র হালাল সার্টিফিকেশন কমিটির সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ড. জহুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মোঃ শামছুল আলমসহ বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিবৃন্দ। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিএসটিআই হতে হালাল সার্টিফিকেশনপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান; বেঙ্গল মিট প্রসেসিং ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড, আকিজ বেকার্স লিমিটেড, বাংলাদেশ এডিবেল অয়েল, নিউজিল্যান্ড ডেইরি, ডেনিস ফুড, অলিম্পিক ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড, সালভো কেমিক্যাল ইন্ড্রাস্ট্রি, কোকোলা ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

‘ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার আইন যেন তথ্য নিয়ন্ত্রণের জায়গা না হয়’

Avatar of author

Published

on

ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার নামে যে আইনটি তৈরি করা হচ্ছে এটি ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ন্ত্রণমূলক আইন হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। যা আমরা চাই না। ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার জন্য যে আইন তৈরি হচ্ছে তা যেন ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ন্ত্রণের জায়গা না হয়, তা খেয়াল রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি)।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ধানমন্ডির টিআইবি’র কার্যালয়ে টিআইবি ও আর্টিকেল নাইনটিন যৌথভাবে আয়োজিত ‘খসড়া ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৪: পর্যালোচনা ও সুপারিশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আর্টিকেল নাইনটিনের আঞ্চলিক পরিচালক (বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া) শেখ মনজুর-ই-আলম।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সরকার ব্যক্তিগত তথ্যের ব্যবহারকারী। ডেটা সুরক্ষা অথরিটি নামে যে সংস্থার কথা বলা আছে, সেটা সরকারি নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান। ফলে স্বার্থের দ্বন্দ্ব থাকে যদি এর নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে থাকে। আমরা এটিকে একটি কমিশন হিসেবে দেখতে চাই। ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা কমিশন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা অপরিহার্য। যা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকবে। আইনের সরকারি বেশকিছু সংস্থাকে জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় অবাধে ব্যক্তিগত তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে অবাধ ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকি বলে মনে করি। এখনও জাতীয় স্বার্থ বা জনস্বার্থের ব্যাখ্যা নেই। ফলে সেই ব্যাখ্যাও আইনে থাকতে হবে। এছাড়াও তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে জুডিশিয়ারি মাধ্যমে যেন হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, আইনের মূল চেতনার যে জায়গা তা মানবাধিকার এবং সাংবিধানিক অধিকার সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়নি। এছাড়াও ব্যক্তির সংজ্ঞা এবং ব্যক্তিগত তথ্যের সংজ্ঞা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। এটা সুষ্পষ্ট হওয়া উচিত। তা না হলে সরকারের কাছে একধরনের সুযোগ থেকে যাচ্ছে।

Advertisement

ডেটা সেন্টার নির্মাণ ও স্থানীয়করণের বিষয়ে তিনি বলেন, সব অংশীজনের সম্পৃক্ততায় এটি ঢেলে সাজানোর প্রয়োজন রয়েছে। এর জন্য আমরা প্রস্তুত নই। কারণ আমাদের অবকাঠামোগত সক্ষমতা নেই। এরপরও সরকার যদি মনে করে তা করতে হবে তবে অবশ্যই সব অংশীজনের সম্পৃক্ততা দরকার।

আর্টিকেল নাইনটিনের আঞ্চলিক পরিচালক (বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া) শেখ মনজুর-ই-আলম বলেন, এই আইনে অধিকারভিত্তিক দিক নির্দেশনা দেখতে চাই। মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে বা মৌলিক অধিকার সুরক্ষা করতে এই আইন প্রয়োজন। অপব্যবহারের জন্যই যেমন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার; সেভাবেই যেন এই আইনটাও তৈরি করা হয়েছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো এই আইনেও ভালোর চেয়ে খারাপ দিকগুলো ভোগাতে পারে এমন শঙ্কাও রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অনেক ভালো দিক রয়েছে। কিন্তু ভালো দিকের তুলনায় খারাপটা আমরা বেশি দেখেছি। এই আইনেও এটা হতে পারে। এছাড়াও দেশে পর্যাপ্ত ডেটা প্রটেকশন অফিসার কিংবা ট্রেনিংপ্রাপ্ত ব্যক্তি এদেশে না থাকায় টেকনিক্যাল পরিবর্তনও প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

‘কোরবানির জন্য পশু আমদানির পরিকল্পনা নেই সরকারে’

Avatar of author

Published

on

ঈদুল আজহা সামনে রেখে গরু বা অন্য কোনো পশু আমদানির পরিকল্পনা সরকারের নেই। কারণ, দেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক গবাদি পশু লালন-পালন করছেন খামারিরা। তবে কোনো গোষ্ঠী যাতে কোরবানিযোগ্য পশুর দাম নিয়ে কারসাজি করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখবে সরকার। যদি কেউ চোখ ফাঁকি দিয়ে আনতে চায়, তবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সীমান্তে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। বলেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান

রোববার (২৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘কোরবানির ঈদের জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছি, যাতে আমাদের গবাদিপশুর বাজার স্থিতিশীল থাকে। পশু যাতে আমাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে, তা নিয়ে খামারিদের সঙ্গে কথা হয়েছে। খামারিদের আশ্বস্ত করেছি, তারাও আমাদের আশ্বস্ত করেছেন—এ বছর গবাদিপশু আমদানি করার প্রয়োজন নেই। আমাদের দেশীয় উৎপাদিত যে গবাদিপশু খামারিরা লালন-পালন করেন, সেটাই যথেষ্ট। প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের আয়োজন ও ব্যবস্থাপনা ঠিক আছে।

তিনি বলেন, ‘আগামী কোরবানির ঈদে বাজার যাতে কেউ অস্থিতিশীল করতে না পারে, সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমরা আগামী কোরবানির ঈদ আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করতে পারব। সেই আনন্দ প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে থাকবে, সেটাই প্রত্যাশা করছি। গতবারের তালিকার চেয়ে আমাদের তিন লাখ বাড়তি সরবরাহ আছে। গত বছর আমাদের ১ কোটি ২৫ লাখ গবাদিপশু বাজারে ছিল। কিন্তু অবিক্রীত ছিল ১৯ লাখ। সেই তুলনায় এবার ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি পশুর সরবরাহের আয়োজন রাখা হয়েছে,’ যোগ করেন মন্ত্রী।

চাঁদাবাজির বিষয় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ঈদের সময়ে এক বিশেষ শ্রেণির মানুষ বিশেষ সুযোগ নেয়। যে কারণে অনেক সময় পরিস্থিতি মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে কোরবানির আগে আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে ঠিক করব, কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়।’

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

জাতীয়1 hour ago

বিএসটিআইতে হালাল সার্টিফিকেটের মূল্যায়ণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

‘বিএসটিআই হতে প্রদানকৃত হালাল সার্টিফিকেটের মূল্যায়ণ’ শীর্ষক স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বিএসটিআই হতে প্রাপ্ত হালাল সনদ গ্রহণ...

জাতীয়2 hours ago

‘ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার আইন যেন তথ্য নিয়ন্ত্রণের জায়গা না হয়’

ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার নামে যে আইনটি তৈরি করা হচ্ছে এটি ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ন্ত্রণমূলক আইন হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। যা আমরা চাই...

জাতীয়2 hours ago

‘কোরবানির জন্য পশু আমদানির পরিকল্পনা নেই সরকারে’

ঈদুল আজহা সামনে রেখে গরু বা অন্য কোনো পশু আমদানির পরিকল্পনা সরকারের নেই। কারণ, দেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক গবাদি পশু লালন-পালন...

অপরাধ6 hours ago

‘আমি সেলিব্রেটি হতে আসি নাই, সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে চাই’

‘আমি সেলিব্রেটি হতে আসি নাই, সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে চাই’। বললেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের নতুন পরিচালক...

মাদকবিরোধী মাদকবিরোধী
অপরাধ7 hours ago

মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২৩ 

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও...

নিউ-ইয়র্কে-নিহত-২-বাংলাদেশি নিউ-ইয়র্কে-নিহত-২-বাংলাদেশি
জাতীয়7 hours ago

নিউ ইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন সিলেটের আবু সালেহ মোঃ ইউসুফ ও কুমিল্লার বাবুল মিয়া। স্থানীয়...

জাতীয়8 hours ago

কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি অনুশীলনে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে : রাষ্ট্রপতি   

শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকল্পে দেশীয় ও বৈশ্বিক শ্রমমান অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি অনুশীলনকে জাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে তোলাও অত্যন্ত জরুরি।...

আইন-বিচার8 hours ago

পিনাকীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল, গ্রেপ্তারির আবেদন

মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্যকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেছে...

হাইকোর্ট হাইকোর্ট
আইন-বিচার8 hours ago

আগামী সপ্তাহ থেকে আপিল বিভাগে দুই বেঞ্চে চলবে বিচারকাজ

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আগামী সপ্তাহ থেকে দুই বেঞ্চে বিচারকাজ পরিচালনা করা হবে। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে আপিল বিভাগের এজলাস...

জাতীয়8 hours ago

শেখ জামালের জন্মদিনে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের...

Advertisement
আন্তর্জাতিক2 mins ago

তীব্র তাপদাহ মোকাবিলায় ট্রাফিক পুলিশের ‘এসি হেলমেট’

ঢালিউড3 mins ago

ভাইরাল সেই লাবন্যময়ী হাসি নিয়ে মুখ খুললেন পিয়া জান্নাতুল

পাম্প
রংপুর4 mins ago

সেচ পাম্প চালু করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজনের মৃত্যু

অর্থনীতি7 mins ago

২৬ দিনে প্রবাসী আয় এলো ১৬৮ কোটি ডলার

জামিন
রংপুর11 mins ago

কুড়িগ্রামে জামিন নিতে এসে বিএনপির ৬ নেতা কারাগারে

অনুপ্রবেশ
রংপুর17 mins ago

ফুলবাড়ী সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ, ভারতীয় নাগরিক কারাগারে 

শিক্ষক
চট্টগ্রাম24 mins ago

সিনিয়র ও জুনিয়র শিক্ষকদের ঘুষি মারার অভিযোগ কুবি ভিসির বিরুদ্ধে

রোহিঙ্গা
চট্টগ্রাম31 mins ago

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দেশি-বিদেশি অস্ত্র গুলিসহ ৫ সন্ত্রাসী আটক

মৃত্যু
ঢাকা35 mins ago

রাজধানীতে গরমে অসুস্থ হয়ে অটোরিকশা যাত্রীর মৃত্যু

ভোট
চট্টগ্রাম38 mins ago

৪৫ ডিগ্রিতে ঈদগাঁও উপজেলার ৫ ইউনিয়নে চলছে ভোট গ্রহণ

বাংলাদেশ4 days ago

শাকিবকে বিয়ের আগেই বুবলী বিবাহিত ও এক সন্তানের জননী, বোমা ফাটালেন সুরুজ বাঙালি

ঢাকায়-বৃষ্টি
বাংলাদেশ6 days ago

তীব্র তাপদাহের মধ্যে যেসব এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে

দুর্ঘটনা2 days ago

৯ দিনে একে একে মারা গেলেন ৩ ভাই

ব্রাজিল,-মৃত-চাচাকে-নিয়ে-ব্যাংকে-ভাতিজি
টুকিটাকি4 days ago

ঋণ পেতে মৃত চাচাকে ব্যাংকে নিয়ে গেলেন ভাতিজি

ঢাকা5 days ago

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা

বাংলাদেশ2 days ago

এক মিনিটের জন্য বিসিএসের স্বপ্ন চুরমার!

বাংলাদেশ4 days ago

র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত

বাংলাদেশ6 days ago

ধোনি-সাক্ষীর চরম প্রেমের কাহিনী, শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে!

ট্রেন
জাতীয়5 days ago

১৫টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়লো

হেলিকপ্টারের-সংঘর্ষ,মালয়েশিয়া
আন্তর্জাতিক5 days ago

মাঝ আকাশে ২ হেলিকপ্টারের মুখোমুখি সংঘর্ষ, সবাই নিহত

উত্তর আমেরিকা3 days ago

সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)

ব্যারিস্টার-সুমন
আইন-বিচার1 week ago

বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনা
জাতীয়1 month ago

গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী

ফুটবল1 month ago

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু

টুকিটাকি1 month ago

জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!

অর্থনীতি2 months ago

বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া

রেশমা
বাংলাদেশ2 months ago

রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ

হলিউড2 months ago

নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু

ফুটবল2 months ago

জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব

টুকিটাকি2 months ago

রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর

সর্বাধিক পঠিত