Connect with us

আন্তর্জাতিক

আর্জেন্টিনায় যাচ্ছেন অন্তঃসত্ত্বা নারীরা!

Avatar of author

Published

on

অন্তঃসত্ত্বা নারী

সম্প্রতি কয়েক মাসের মধ্যে পাঁচ হাজারের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী আর্জেন্টিনায় প্রবেশে করেছেন। আর্জেন্টিনা পৌঁছানো নারীরা তাদের গর্ভাবস্থার শেষ সপ্তাহে আছেন। জানিয়েছে দেশটির জাতীয় অভিবাসন সংস্থা।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতকি সংবাদ সংস্থা বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গেলো বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক ফ্লাইটেই দেশটিতে গেছেন ৩৩ রুশ অন্তঃসত্ত্বা নারী। ধারণা করা হচ্ছে, এসব অন্তঃসত্ত্বা নারী আর্জেন্টিনায় সন্তান প্রসব করে তাদের দেশটির নাগরিক করতে চান। এই কারণে সম্প্রতি আর্জেন্টিনায় যাওয়া রুশ নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আর্জেন্টিনার অভিবাসন সংস্থার প্রধান ফ্লোরেন্সিয়া ক্যারিগন্যানো বলেন, বিশ্বজুড়ে তাদের পাসপোর্ট খুবই নিরাপদ। আর্জেন্টিনার পাসপোর্টধারী ১৭১টি দেশে ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করতে পারেন। এ ছাড়া সন্তানের আর্জেন্টিনার নাগরিকত্ব থাকলে বাবা-মায়েরাও দ্রুত দেশটির নাগরিকত্ব পান। অন্যদিকে রাশিয়ান পাসপোর্টে মাত্র ৮৭টি দেশে ভিসামুক্ত ভ্রমণ করা যায়।

তিনি বলেন, সমস্যা হলো তারা আর্জেন্টিনা আসে এবং তাদের সন্তানদের আর্জেন্টিনার নাগরিক হিসেবে তালিকাভুক্ত করে আবার চলে যায়।

Advertisement

এদিকে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে এমনটা হচ্ছে বলে দাবি করছে।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

আফ্রিকা

নাইরোবিতে ট্যাক্সবিরোধী আন্দোলন, নিহত কয়েকজন

Published

on

কেনিয়ায় ট্যাক্সবিরোধী আন্দোলন সহিংস আকার ধারণ করেছে। এই বিক্ষোভ থেকে দেশটির সংসদ ভবনে আগুন দেয়া হয়েছে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের দমাতে পুলিশ গুলি ছুড়লে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশি বাধা টপকে দেশের সংসদ ভবনে আগুন দেন বিক্ষোভকারীরা। কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান দিয়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যর্থ হলে পুলিশ গুলি চালায়।

বুধবার (২৬ জুন) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

সংসদ ভবনের বাইরে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন এমন পাঁচজন বিক্ষোভকারীর মরদেহ গুণে দেখেছেন রয়টার্সের একজন সাংবাদিক। তবে প্যারামেডিক ভিভিয়ান আচিস্তা বলেছেন, কমপক্ষে ১০ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

আরেকজন প্যারামেডিক রিচার্ড এনগুমো বলেছেন, গুলিতে ৫০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। তিনি সংসদের বাইরে দুজন আহত বিক্ষোভকারীকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

Advertisement

ডেভিস তাফারি নামে একজন বিক্ষোভকারী রয়টার্সকে বলেন, আমরা সংসদ বন্ধ করে দিতে চাই। প্রত্যেক এমপির পদত্যাগ করা উচিত। আমাদের একটি নতুন সরকার দরকার।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, কাঁদনে গ্যাস ও গুলি চালিয়ে পুলিশ শেষ পর্যন্ত সংসদ ভবন থেকে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ করতে পেরেছে। এছাড়া ভূগর্ভস্থ টানেল দিয়ে এমপিদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

শুধু নাইরোবি নয়, এদিন ট্যাক্স বাড়ানোর প্রতিবাদে দেশের অন্যান্য শহর ও নগরেও বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ হয়েছে। এসব বিক্ষোভ থেকে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর পদত্যাগের দাবি করা হচ্ছে। যদিও আন্দোলন শুরু হয়েছিল ট্যাক্স বৃদ্ধির বিরোধিতা করে।

আফ্রিকার এই দেশের মানুষজন করোনো মহামারির দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব, ইউক্রেনের যুদ্ধ, টানা দুই বছরের খরা এবং মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে সৃষ্ট বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক ধাক্কা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। তাদের এমন অর্থনৈতিক চাপের মধ্যেই রাজস্ব আয় বাড়াতে আরও প্রায় ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের করের বোঝা জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে সরকার।

ইতিমধ্যে নতুন এই অর্থ বিলের অনুমোদন দিয়েছে সংসদ। এখন তৃতীয় বারের মতো এটি আবারও সংসদে উঠবে। এই ধাপে পাস হলে তা স্বাক্ষরের জন্য প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো হবে। কোনো আপত্তি থাকলে তিনি তা সংসদে ফেরত পাঠাতে পারেন। আর আপত্তি না থাকলে তিনি সই করলেই তা আইনে পরিণত হয়ে যাবে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

কেনিয়ায় পার্লামেন্টের ভেতর পুলিশের গুলিতে নিহত ১০

Published

on

কেনিয়ায় কর বাড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করার সময় পুলিশের গুলিতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৫ জুন) এ ঘটনা ঘটে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, কর বাড়ানোর ওপর এদিন সংসদে একটি আইন পাস করার সময় বিক্ষোভকারীরা সংসদের বাইরে তার প্রতিবাদ জানান। এক পর্যায়ে তারা সংসদের ভেতরে ঢুকে হামলা করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ওপর প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণ করে। এতে ১০ জন নিহত হন।

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, প্রথমে পুলিশ টিয়ারগ্যাস এবং জলকামান দিয়ে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এতে ব্যর্থ হওয়ার পরে তারা গুলি চালায়। এ সময় ভবনের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।

জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকদিন থেকেই সংকটে ভুগছে কেনিয়ার জনগণ। নতুন করে সরকারের কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিক্ষোভেও নামেন তারা। তারা প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান। এছাড়া দেশজুড়ে আরও কয়েকটি শহরেও বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ হয়েছে।

কেনিয়ার জনগণ দীর্ঘদিন থেকেই কোভিড মহামারির দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব, ইউক্রেনের যুদ্ধ, পরপর দুই বছরের খরা এবং মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে সৃষ্ট বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক ধাক্কা সামলাতে লড়াই করছিল

Advertisement

মঙ্গলবার সংসদ অর্থ বিলটি অনুমোদন করেছে। পরে এটি আইন প্রণেতাদের কাছে পাঠানো হয়। পরবর্তী ধাপে আইনটি স্বাক্ষরের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। কোনো আপত্তি থাকলে তিনি তা সংসদে ফেরত পাঠাতে পারেন।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানালো যুক্তরাষ্ট্র

Published

on

ম্যাথিউ মিলার, যুক্তরাষ্ট্র
ম্যাথিউ মিলার

দুর্নীতির তথ্য প্রকাশের জেরে একটি বিবৃতি দিয়েছিলো বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।সেই বিবৃতির প্রতিক্রিয়া জানালো মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। সোমবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে দপ্তরটির মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ প্রতিক্রিয়া জানান।

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতির বিষয়ে প্রশ্নটি করেন ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সেক্রেটারি মুশফিকুল ফজল আনসারী।

আনসারী তাঁর প্রশ্নে বলেন,পুলিশের দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশের জেরে সম্প্রতি মিডিয়াকে হুমকি দিয়ে একটি বিবৃতি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। ক্ষমতাসীনদের বিশাল দুর্নীতির ক্ষেত্রে এই রিপোর্টগুলো ছোটখাটো উদাহরণ মাত্র, যা প্রকাশের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া প্রায়শই উপেক্ষা করে থাকে।

মুশফিকুল ফজল আনসারী প্রশ্নে আরো বলেন, শীর্ষস্থানীয় একটি ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশ্যে বলেছেন, দুর্নীতির অনেক রিপোর্ট জেনেও তারা তা প্রকাশ করতে পারেন না। আপনি জানেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার আন্তর্জাতিক সূচক অনুযায়ী- ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৫তম। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে হুমকি এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নেবে?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে কার্যকর রাখতে এবং সরকারের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের ভূমিকাকে আমরা দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি। সাংবাদিকদের তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনা করতে বাধা দেওয়ার জন্য তাদের হয়রানি বা ভয় দেখানোর যেকোনও প্রচেষ্টায় আমরা আপত্তি জানাই।

Advertisement

উল্লেখ্য, গেলো ২১ জুনবিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একটি বিবৃতি দেয় বাংলাদেশপুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

বিবৃতিতে বলা হয় স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং গণতন্ত্র ও দেশবিরোধী চক্র কর্তৃক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড যেমন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বোমাবাজি ও পেট্রোল বোমাবাজদের প্রতিহত করার ক্ষেত্রে পুলিশের সফলতার কারণে ওই গোষ্ঠী বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে প্রতিপক্ষ বিবেচনায় প্রতিনিয়তই পুলিশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক সমালোচনায় লিপ্ত। স্বাধীনতা ও দেশবিরোধী চক্র তাদের দোসর বিদেশে পলাতক সাইবার সন্ত্রাসীরা ধারাবাহিকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত তথ্য প্রকাশ করে পুলিশ কর্মকর্তাদের চরিত্র হননে ব্যস্ত। তাদেরই অনুকরণে ইদানীং কোনো কোনো গণমাধ্যম বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান ও প্রাক্তন সদস্য সম্পর্কে উদ্দেশ্য প্রণোদিত মানহানিকর নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করছে,যা বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার হীন উদ্দেশ্য বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

 

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত