Connect with us

ফুটবল

যেভাবে ‘আরব্য রজনীর’ গল্প শুরু করলেন নেইমার

Published

on

রিয়াদের প্রিন্স ফয়সাল বিন ফাহাদ স্টেডিয়াম ভুগছিল নেইমার-ম্যানিয়ায়।  ব্রাজিলিয়ান তারকার অভিষেক উপলক্ষ্যে গ্যালিরির দর্শকরা নেইমার নেইমার ধ্বনি কম্পিত করে পুরো স্টেডিয়াম।  তবে নেইমারকে শুরু থেকে রাখেনি আল হিলাল কোচ।

দ্বিতীয়ার্ধের ৬৪ মিনিটে আরেক ব্রাজিলিয়ান মাইকেল অলিভিয়েরার পরিবর্তে তুমুল হর্ষধ্বনির মধ্যে মাঠে নামেন নেইমার। ব্রাজিলের সর্বকালে সর্বচ্চো গোলদাতা নেইমার মাঠে নামার আগে আল রিয়াদের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল আল হিলাল।  কিন্তু নেইমার মাঠে নামার পরই আক্রমনের গতি কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

 

নেইমার গোল পাপনি, তবে নামে পাশে যুক্ত হয়েছে একটি অ্যাসিস্ট।  অবশ্য বাকি গোল গুলোতেও পরোক্ষ ভাবে অবদান রেখেছিলেন তিনি।

নেইমার মাঠে নামার ৪ মিনিট পরই গোল করেন নাসের আলদাওয়াসারি। এই গোলের উৎস ছিলেন নেইমারই। তাঁর দুর্দান্ত এক ‘ফ্লিক’ থেকে তৈরি হয়েছিল সেই আক্রমণ।

Advertisement

৮৪ মিনিটে হিলালের জার্সিতে গোলের পাশে সরাসরি জড়ায় নেইমারের নাম।  মাঝ মাঠ থেকে বল পেয়ে বক্সের কাছে চলে যান তিনি। সেখান থেকে বল বাড়ান আরেক ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ম্যালকমের উদ্দেশ্যে।  বল পেয়েই দারুণ ফিনিশিংয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন ম্যালকম।

তার মিনিট দুয়েক পর নেইমারের নেয়া শট ডি-বক্সের ভিতরে হাতে লাগে প্রতিপক্ষের এক ফুটবলারের।  পেনাল্টি থেকে প্রথম গোল করার সুযোগ পেয়ে যান নেইমার।  কিন্তু সেই সুযোগ নিজে না নিয়ে সালেম আলদাওয়াসেরিকে দেন সাবেক পিএসজি তারকা।

৬ষ্ঠ গোলটিতেও অবদান রাখেন নেইমার।  যোগ করা সময়ে তার নেয়া শট রুখে দেন রিয়াদ গোলরক্ষক।  ফিরতি শটে দলের ৬ষ্ঠ গোলটি করেন সালেম।

শেষ সময়ে এসে সান্ত্বনার এক গোল পায় রিয়াদ। শেষ পর্যন্ত ৬-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আল হিলাল।

জয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের অভিষেক-অনুভূতির কথা জানিয়েছেন নেইমার। সেখানে বেশকিছু ছবি পোস্ট করে ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার লিখেছেন, ‘অভিষেকে পাওয়া এই জয়ে খুবই আনন্দিত। ট্রিবিউট দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভক্তদের।’

Advertisement

 

Advertisement

ফুটবল

কোস্টারিকার রক্ষণ ভাঙতে ব্যর্থ ব্রাজিল

Published

on

কোনোভাবেই কিছু হলো না। ব্রাজিল চেষ্টা করে গেল একের পর এক। কিন্তু কোস্টারিকার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো তাদের। র‍্যাংকিং বিচারে সেলেসাওদের থেকে ৪৭ ধাপ পিছিয়ে আছে কোস্টারিকা। কোপা আমেরিকার মাঠের খেলায় হতাশা কেবল সঙ্গী হলো ব্রাজিল খেলোয়াড়দের।

গোল মিস, গোল মিস! রদিগো, লুকাস পাকেতা বা ভিনিসিয়াস জুনিয়র- এক যেন মহড়া দিয়েছিলেন তারা। এখানে প্রতিপক্ষকে আলাদা সম্মান জানাতে হয়। কোস্টারিকার রক্ষণভাগ ব্রাজিলের জন্য কাঁটা হয়ে উঠেছিল।

সেই রক্ষণ ভেঙে তারকা খেলোয়াড়েরা সুবিধা করতে পারেনি মোটেও। এবারই প্রথম কোস্টারিকার বিপক্ষে ড্র করলো ব্রাজিল। আগের ১১ দেখায় ১০ বার জিতেছে সেলেসাওরা আর একবার কোস্টারিকা।

এই হারে কোপার শুভসূচনা করতে ব্যর্থ হলো ব্রাজিল।

 

Advertisement

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফুটবল

রেকর্ডের দিনে মেসি বললেন, ম্যাচ সহজ ছিল না

Published

on

কোপা আমেরিকার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড এখন লিওনেল মেসির দখলে। এতদিন পর্যন্ত চিলির সের্হিও লিভিংস্টোনের সাথে ভাগাভাগি অবস্থানে ছিলেন মেসি। এই প্রয়াত গোলরক্ষকের ৩৪ টি ম্যাচ খেলার রেকর্ড পেরিয়ে মেসি এখন ৩৫ টি ম্যাচ ঝুলিতে নিয়ে অবস্থান করছেন। এমন দিনে দলও জিতেছে কোপা আমেরিকার উদ্বোধনী ম্যাচে।

মেসির হাতে আরও সুযোগ ছিল। গোল করতে পারেননি। তবে গোল করিয়েছেন। একটি গোলে সরাসরি অবদান ছিল তার। আর অন্য গোলটিতেও মূল কাজটুকু করেছেন। আটালান্টার মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে কানাডার বিপক্ষে গোল পেয়েছেন হুলিয়ান আলভারেজ ও লাউতারো মার্টিনেজ।

প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। এরপর দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার পর ৪৯ মিনিটে আলভারেজের পা থেকে প্রথম গোল আসে। যেখানে ম্যাক অ্যালিস্টারকে বল বাড়িয়েছিলেন মেসি। আর অ্যালিস্টারের পায়ের খোঁচাতেই আলভারেজ পেয়ে যান দলের পক্ষে প্রথম গোল।

এরপর ৮৮ মিনিটের মাথায় আর্জেন্টাইন অধিনায়কের চমৎকার এক থ্রু-পাসে গোল করতে ভুল করেননি লাউতারো মার্তিনেজ। এই গোলের পর উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে আকাশী-নীল জার্সিধারীরা।

আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়েরা মোট ৬৫ শতাংশ বলের দখলে ছিলেন। আর ১৯ টি শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৯ টি শট। গোলের সুযোগ মিস না করলে হয়তো ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিতে পারতো মেসি বাহিনী।

ম্যাচ শেষে মেসি বলেন, ‘আমরা ধৈর্য্য নিয়ে বলের দখল নিই এবং আক্রমণ চালাই। আজ আমাদের ফাঁকা জায়গা খুঁজে পেতে বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিপক্ষ আমাদের চেয়ে আলাদা ধরনের ফুটবল খেলে। যার বিপরীতে আমাদের মনোবল শক্ত রাখতে হয় এবং লক্ষ্য ছিল বল নিয়ন্ত্রণে রেখে সুযোগ আসলেই তা কাজে লাগানোর।’

Advertisement

আর্জেন্টিনা অধিনায়ক আরও যোগ করেন, ‘আমরা জানতাম তাদের সঙ্গে কঠিন ম্যাচ হবে, কারণ তারা বেশ শরীরি ভাষায় জবাব দেয়। প্রথমার্ধে তো তেমন সুযোগই দেয়নি আমাদের। সৌভাগ্যবশত দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আমরা গোল পেয়ে যাই, কিন্তু এরপরও ম্যাচ খুব একটা সহজ ছিল না।’

 

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফুটবল

আর্জেন্টিনার জয়ে সকাল শুরু

Published

on

কোপা আমেরিকার উদ্বোধনী ম্যাচে কানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধে গোল করার সুযোগ দেয়নি কানাডা। বরং সামলিয়েছে খুব দারুণভাবে। তবে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই হুলিয়ান আলভারেজ গোল পেয়ে বসেন। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে গোল দ্বিতীয় গোলটি করে লাওতারো মার্তিনেজ। যেখানে লিওনেল মেসি থেকে সরাসরি থ্রু পাস পেয়েছিলেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা ও কানাডা। শুরু থেকেই কানাডা সুযোগ তৈরি করতে দিচ্ছিল না আলবিসেলস্তাদের। বরং কানাডা চাপ তৈরি করছিল আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগে। তবে আর্জেন্টিনা পাল্টা জবাব দিতেও সময় নেয়নি। এভাবেই গোলশূন্য শেষ হয়েছে প্রথমার্ধ।

দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ৪৯ মিনিটের মাথায় লিওনেল মেসি থেকে চমৎকার এক পাস যায় অ্যালেক্সিস ম্যাক-অ্যালিস্টারের কাছে। ম্যাক অ্যালিস্টার সুযোগ বুঝে আলভারেজের কাছে বল ছাড়েন। আর আলভারেজ তা জালে জড়াতে ভুল করেননি। আর্জেন্টিনার কাছ থেকে বেশ কিছু সুযোগ মিস করতেও দেখেছে স্টেডিয়ামের ৭১ হাজার দর্শক।

ম্যাচের ৮৮ মিনিটে মেসির কাছ থেকে দারুণ এক থ্রু পাস দেখা যায়। যা মার্তিনেজের পা থেকে জালে জড়িয়ে পড়ে। আর উচ্ছাসে ফেটে পড়ে আকাশী-নীল খেলোয়াড়েরা। কানাডাকে হারিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৩ টি পয়েন্ট নিশ্চিত করে নেয় আর্জেন্টিনা।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত