তথ্য-প্রযুক্তি
চ্যাটজিপিটি দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে কেন!
ইন্টারনেট এবং মুঠোফোন আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। এ দুটো ছাড়া যেন আধুনিক জীবন কল্পনা করা অসম্ভব। খুব শীঘ্রই প্রযুক্তি জগতের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আসতে চলেছে, যেটি আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ বনে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। সেটি হলো, চ্যাটবট।
গুগল, মাইক্রোসট, মেটা – একে একে সবাই চ্যাটবট তৈরিতে ব্যস্ত। এগুলোকে মানুষের জন্য আরও সুবিধাজনক এবং ব্যবহারোপযোগী করার জন্য গবেষণায় মত্ত টেক জায়ান্টগুলো। তবে অন্যান্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক উদ্ভাবনের মতোই, এই চ্যাটবটগুলোরও সীমাবদ্ধতা আছে, এগুলোর ত্রুটির কারণে অনেক সমালোচনাও হয়ে থাকে।
সম্প্রতি চ্যাটজিপিটি নামে একটি চ্যাটবট চালু করেছে ওপেনএআই। আপাতত পাবলিক টেস্টিংয়ের জন্য এটির ব্যবহার উন্মুক্ত করা হয়েছে। ওপেনআই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি কোম্পানি, যার একজন প্রতিষ্ঠাতা হলেন ধনকুবের ইলন মাস্ক।
ধরা হচ্ছে, বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় চ্যাটবট হলো চ্যাটজিপিটি। উন্মুক্ত করে দেয়ার এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা এক মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। খবর ডেইলি মেইল অনলাইন-এর।
চ্যাটবট কী?
চ্যাটবট হলো এক ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে গঠন করা হয়। এটি একটি বড় ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল যাকে অসংখ্য ডেটা দিয়ে প্রশিক্ষিত করা হয়। ফলে কোনো ডিভাইসের মাধ্যমে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মানুষের মতো করে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে; অর্থাৎ ম্যাসেজের রিপ্লাই দিতে পারে।
চ্যাটজিপিটি কী?
ওপেনএআই বলছে, রিইনফোর্সমেন্ট লার্নিং ফ্রম হিউম্যান ফিডব্যাক নামক একটি মেশিন লার্নিং কৌশল ব্যবহার করে চ্যাটজিপিটি মডেলকে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। এটি কথোপোকথন শুরু, প্রশ্নের উত্তর প্রদান, ভুল স্বীকার, ভুল অনুমান চ্যালেঞ্জ এবং অযাচিত অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে সক্ষম।
অন্যান্য চ্যাটবটের মতোই চ্যাটজিপিটিও দ্রুত সময়ে সাড়া দিতে সক্ষম। শুধু তা-ই নয়, আরও কিছু আকর্ষণীয় ফিচার রয়েছে এটির। রচনা লেখা থেকে শুরু করে গানের লিরিক্স লেখা, গল্প লেখা, এমনকি কবিতা লিখতেও নির্দেশ দেয়া যাবে এই চ্যাটবটকে। আর মার্কেটিং পিচ, স্ক্রিপ্ট, অভিযোগ পত্র লেখা তো আছেই!
চ্যাটজিপিটির প্রতিষ্ঠাতা
এই নতুন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেমটি তৈরি করেছে ওপেনএআই। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের স্যান ফ্রান্সিসকো শহরে এই কোম্পানিটি অবস্থিত।
২০১৫ সালে গঠিত ওপেনএআই-এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ইলন মাস্ক, স্যাম অ্যাল্টম্যান এবং আরও অনেকে, যাদের সম্মিলিত মূলধন ছিল এক বিলিয়ন ডলার ( ১০০ কোটি ডলার)। বর্তমানে এর সিইও হিসেবে ক্লর্মরত আছেন স্যাম অ্যাল্টম্যান। ২০১৮ সালে দায়িত্ব থেকে সরে গেলেও এর দাতা হিসেবে রয়ে গেছেন ইলন মাস্ক।
এটি কীভাবে কাজ করে?
পাবলিক টেস্টিংয়ের জন্য অ্যাপটির যে ভার্শন উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে সেটির উদ্দেশ্য হলো, ব্যবহারকারীদের প্রশ্ন বুঝতে পারা এবং সেসব প্রশ্নের যথাসম্ভব গভীরতর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করা, ঠিক অনলাইন কথোপোকথনে মানুষের লিখিত টেক্সটের মতো।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চ্যাটজিপিটি-এর মতো টুল বাস্তবিক প্রয়োগে ব্যবহার করা যাবে যেমন, ডিজিটাল মার্কেটিং, অনলাইন কন্টেন্ট তৈরি, কাস্টমার সার্ভিসের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ইত্যাদি। মানুষের কথা বলার ধরন অনুসরণ করে এই চ্যাটবটটি অসংখ্য প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে সক্ষম।
এটি প্রাথমিকভাবে জনসাধারণের কাছে বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল। অল্পসময়ে চ্যাটজিপিটি এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল যে ওপেনএআই-এর ডেমো লিংকটি বন্ধ করে দিতে হয়েছিল।
উন্মুক্ত করে দেয়ার প্রথম পাঁচদিনের মাথায় এক মিলিয়নের বেশি মানুষ এতে সাইন আপ করে ফেলেন। যেখানে এমন ব্যবহারকারী পেতে ফেসবুক এবং স্পটিফাইয়ের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর মাসের পর মাস লেগেছিল।
সম্ভাবনা
চ্যাটজিপিটি আমাদের বিভিন্ন ডিভাইস তথা মেশিনের সঙ্গে কথোপকথনের ধরনে আমূল পরিবর্তন আনবে – এমনটা দাবি করা হয়েছে ওপেনএআই-এর পক্ষ থেকে।
জটিল প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম সফটওয়্যারটি। ফলে অনেকের ধারণা, এটি গুগলের সার্চ ইঞ্জিন একাধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করবে।
গুগলের সমালোচকরা বলেন, এই সার্চ ইঞ্জিনটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মুনাফা সর্বোচ্চকরণের দিকে বেশি ঝুঁকেছে। এবং ব্যবহারকারীদের অনুসন্ধানের (গুগল সার্চ) ফলাফলে কৃত্রিক বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে বেশ সতর্কতা অবলম্বন করেছে।
জিমেইল প্রতিষ্ঠার পেছনে ভূমিকা ছিল পল বুশেইট-এর। ৪৫ বয়সী এই ডেভেলাপার মনে করেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে গুগল সার্চ ইঞ্জিনের আধিপত্য শীঘ্রই খর্ব হবে।
তিনি টুইট করে বলেন, ‘মাত্র এক বা দুই বছরের মধ্যে গুগলের আধিপাত্য সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়ে যেতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সার্চ ইঞ্জিনটির রেজাল্ট পেইজ অপসারিত করবে, যেটি থেকে গুগলের মুনাফার সিংহভাগ আসে।
কিন্তু চ্যাটজিপিটি এর ঠিক বিপরীত উত্তর জানায়।
‘বাস্তববুদ্ধিসম্পন্ন এআই চ্যাটবট কি গুগলের সার্চ ইঞ্জিন আধিপত্য নির্মূল করে দেবে?’ – ডেইলি মেইল-এর পক্ষ থেকে চ্যাটজিপিটিকে এমন প্রশ্ন করা হয়।
অনেক বড়সড় উত্তর চলে আসায় আবার একটা ছোট উত্তর চাওয়া হয়। চ্যাটবটটির উত্তর আসে, ‘এআই চ্যাটবট, এমনকি অত্যাধুনিক এআই চ্যাটবট গুগলের সার্চ ইঞ্জিনের আধিপত্য শেষ করতে সক্ষম হবে – এমনটা অসম্ভব।’
উত্তরে আরও ছিল, ‘এআই চ্যাটবট কিছু নির্দিষ্ট কাজের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা। অন্যদিকে গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিনগুলো ডিজাইন করা হয়েছে প্রচুর পরিমাণে তথ্য অনুসন্ধান (সার্চ) করার জন্য। অদূর ভবিষ্যতে এআই চ্যাটবট সার্চ ইঞ্জিনগুলিকে প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হবে – এটি অসম্ভব।’
চ্যাটজিপিটি-এর প্রতিদ্বন্দ্বী কারা?
গুগল ইতোমধ্যে তাদের নিজস্ব এআই প্রতিষ্ঠা করছে। এর অংশ হিসেবে জনপ্রিয় এ সার্চ ইঞ্জিনটি বর্তমানে কথোপকথন বিষয়ক এবং ভয়েস সার্চ নিয়ে গবেষণা করছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতকে আরও অগ্রসর করতে গুগল ডিপমাইন্ড নামক একটি এআই কোম্পানি নিয়ে কাজ করছে।
পিছিয়ে নেই মেটা এবং মাইক্রোসফট
চলতি বছরের আগস্ট মাসে ফেসবুকের মাতৃ-প্রতিষ্ঠান মেটা একটি এআই গবেষণা রিসার্চ প্রজেক্ট চালু করে। এর নাম দেওয়া হয় ব্লেন্ডারবট থ্রি। এই চ্যাটবটটি মূলত ইন্টারনেটে প্রচলিত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে উত্তর দিয়ে থাকে।
মজার বিষয়, চ্যাটবটটিকে তার মালিক অর্থাৎ মার্ক জাকারবার্গকে নিয়ে জিজ্ঞেস করতে উত্তরে কিছু নেতিবাচক শব্দ আসবে।
কিছু সাংবাদিক ব্লেন্ডারবট থ্রি’কে জাকারবার্গ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে বটটি জবাব দেয়, মার্ক জাকারবার্গ ‘উদ্ভট এবং ধান্দাবাজ।’ মার্ক ‘সবসময় নৈতিক’ নয় বলেও জবাব দেয় চ্যাটবটটি।
এমনকি মার্ক জাকারবার্গের পোশাক নিয়ে মন্তব্য করতে ভোলেনি এই বট! মার্ককে ‘হাস্যকর’ বলে উল্লেখ করে এটি বলেছে, তিনি ‘এখনো একই পোশাক পরেন।’
চ্যাটজিবিটি-এর মতোই ব্লেন্ডারবট থ্রি’কেও পাবলিক ডেমো হিসেবেই ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালে মাইক্রোসফট তাদের এআই চ্যাটবট টে চালু করে। এটি মূলত ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল, অনলাইনে তরুণদের কথোপকথনের ভাষা বোঝা।
কিন্তু চালু হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে টুইটার ব্যবহারকারীরা টে-এর অ্যালগরিদমের ত্রুটির সুযোগ নেন। একসময় চ্যাটবটটি বর্ণবাদী এবং আক্রমণাত্মক উত্তর দেওয়ায় সঅমালোচনার ঝড় ওঠে। এঁটে মাইক্রোসফটকে বাধ্য হয়ে ব্যবহারকারীদের কাছে ক্ষমা চাইতে হয়।
চ্যাটজিপিটি কি ত্রুটিমুক্ত?
বর্ণ, জেন্ডার এবং সংস্কৃতি নিয়ে সামাজিক পক্ষপাতকে স্থায়িত্ব দেওয়ায় এআই প্রযুক্তি বেশ বিতর্কিত। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা তাদের কিছু প্রজেক্টের সীমাবদ্ধতা স্বীকার করে অ্যালফাবেট ইংক-এর গুগল এবং আমাজন-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সেগুলো ‘নৈতিকভাবে অনির্ভরযোগ্য।’
অন্যান্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক উদ্ভাবনের মতোই স্বাভাবিকভাবেই চ্যাটজিপিটি ত্রুটিমুক্ত নয়।
টুলটির ‘আপাতত বিশ্বাসযোগ্য প্রতীয়মান, কিন্তু ভুল বা অর্থহীন উত্তর’ দিয়ে সাড়া দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে বলে স্বীকার করেছে ওপেনএআই। তবে এই সমস্যার সমাধান করা চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করে প্রতিষ্ঠানটি। চ্যাটবটটি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করতে পারে বলেও সতর্ক করেছে তারা।
চ্যাটজিপিটির বর্তমান
নানা উদ্বেগ এবং সমালোচনা সত্ত্বেও, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংক্রান্ত গবেষণা এখনও বেশ আকর্ষণীয় ক্ষেত্র।
অর্থায়ন নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি পিচবুক-এর হিসাব অনুযায়ী, গতবছর এআই-এর ক্ষেত্রটিতে মূলধন বিনিয়োগ প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছে।
ওপেনএআই চায় মানুষ তাদের পরীক্ষামূলক চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করুক, যাতে করে কোম্পানিটি আরও ডেটা নিয়ে বটটিকে আরও অগ্রসর করতে পারে।
তথ্য-প্রযুক্তি
অবৈধ দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল বন্ধের কার্যক্রম শুরু
অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
গেলো ২ এপ্রিল তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাথে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত দশটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
এ সিদ্ধান্তগুলো হলো- ১) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীগণই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলসমূহ গ্রাহকের নিকট বিতরণ করতে পারবে ২) ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না ৩) সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না ৪) টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিং এর অ্যাপসসমূহ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরণের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ৫) বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ৬) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত অন্য কোন চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না। এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে বিধায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতিত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না ৭) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোন ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত নিজস্ব কোন অনুষ্ঠান যথা: ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমে অথবা অন্য কোন উপায়ে কোন চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না। আইন অমান্য করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনো চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না ৮) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোন ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারীগণ ব্যতিত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না ৯) অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটরগণ এই সিদ্ধান্তসমূহ তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে এবং ১০) আইন/নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে গেলো বৃহস্পতিবার (২ মে) সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের চিঠি দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
টিআর/
চট্টগ্রাম
এক দশকের মধ্যে বিলুপ্ত হবে স্মার্টফোন
বর্তমানে মানুষের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মার্টফোন। আগামী ১০-১৫ বছরের মধ্যেই নাকি বিলুপ্ত হয়ে যাবে জরুরি এ ডিভাইসটি। তখন এটি আর মানুষের হাতে হাতে দেখা যাবে না। কথাটা শুনে অদ্ভুত একটা মানসিক ধাক্কা লাগলেও সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছেন মেটার শীর্ষ এআই বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন।
তিনি বলেন, শেষপর্যন্ত আমরা যেটা চাই, সেটা হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অ্যাসিস্ট্যান্ট। যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাহায্য করবে। আর সেই কারণেই আমাদের পকেটে থাকে স্মার্টফোন । কিন্তু আজ থেকে ১০ বা ১৫ বছরের মধ্যেই আমাদের আর স্মার্টফোনের প্রয়োজন পড়বে না। তখন এসে যাবে অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাসেস।
বিজ্ঞানী লেকুনের দাবি, ওই বিশেষ ধরনের চশমা আর ব্রেসলেটই সব কাজ করে দেবে। কল্পবাস্তবের জগতে চলাফেরা করতে কোনো সমস্যাই হবে না। ফলে স্মার্টফোনের প্রয়োজন শেষ হয়ে যাবে।
লেকুনই প্রথম এমন বললেন তা নয়। এর আগে নোকিয়ার সিইও পেক্কা লান্ডমার্ক ২০২২ সালেই বলেছিলেন, ২০৩০ সালের মধ্যেই স্মার্টফোন আর প্রাসঙ্গিক থাকবে না। বরং শরীরেই বসানো থাকবে নানা যন্ত্র!
উল্লেখ্য, বছরের শুরুতেই ‘অসাধ্য সাধন’ করেছে ধনকুবের এলন মাস্কের সংস্থা নিউরালিঙ্ক। মানব মস্তিষ্কে বসানো হয়েছে একটি ‘ব্রেন ইন্টারফেস’ অর্থাৎ চিপ। যা মানব মস্তিষ্কের সাথে কম্পিউটারের সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারে। সেই ব্যক্তি তার মস্তিষ্ককে ব্যবহার করে অর্থাৎ ‘টেলিপ্যাথি’র মাধ্যমে ভিডিও গেম বা অনলাইন দাবা খেলতে পারছেন! নিত্যনতুন উদ্ভাবনে আগের সবকিছুকেই টেক্কা দিচ্ছে এই ‘ব্রেন ইন্টারফেস’। ফলে স্মার্টফোনের অবলুপ্তি সংক্রান্ত এমন ভবিষ্যদ্বাণীকে উড়িয়ে দিতে পারছে না কেউ।
এসি//
তথ্য-প্রযুক্তি
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
গ্রাহকদের দাবি ও তোপের মুখে পড়ে সব ধরনের রিচার্জের মেয়াদ বাড়িয়েছে বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন।
গেলো বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এখন থেকে গ্রামীণফোনের ২০ থেকে ৪৯ টাকা রিচার্জের ক্ষেত্রে মেয়াদ ৩৫ দিন হবে, যা আগে ছিল ১৫ দিন। পাশাপাশি ৫০ থেকে ১৪৯ টাকা রিচার্জের মেয়াদ ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ দিন এবং ১৫০ থেকে ২৯৯ টাকা রিচার্জের মেয়াদ ৪৫ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬৫ দিন। আর ২৯৯ টাকার বেশি অঙ্কের রিচার্জের ক্ষেত্রে মেয়াদ হবে ৩৯৫ দিন।
এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব বলেন, গ্রামীণফোনের সব কার্যক্রমের মূলে রয়েছেন গ্রাহকরা। তাদের চাহিদা পূরণ করার জন্য নিয়মিত সহজ ও সুবিধাজনক অফার দেয়ার চেষ্টা করছে গ্রামীণফোন।
এর আগে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল, ২৯ টাকা পর্যন্ত রিচার্জে মেয়াদ ১০ দিন, ৩০ থেকে ৪৯ টাকা পর্যন্ত রিচার্জে ১৫ দিন এবং ৫০ থেকে ১৪৯ টাকা রিচার্জে ৩০ দিন মেয়াদ থাকবে। ধারাবাহিকভাবে গ্রামীণফোনের নম্বরে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন অঙ্কের রিচার্জে ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়।
আই/এ
- এশিয়া8 hours ago
দুর্ঘটনায় উল্টে গেলো গাড়ি, রাস্তায় ছড়িয়ে পড়লো কোটি কোটি টাকা
- টুকিটাকি11 hours ago
মাকে গুলি, স্ত্রীকে হাতুড়ি আর ৩ সন্তানকে ছাদ থেকে ফেলে খুন
- জাতীয়5 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
- বলিউড6 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
- আন্তর্জাতিক3 days ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
- ঢাকা5 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
- ঢালিউড2 days ago
মেয়ের মা হলেন পরীমণি
- চট্টগ্রাম2 days ago
বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের ১ পাইলট নিহত
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন