Connect with us

জাতীয়

সব দেশকে বলেছি রোহিঙ্গাদের নিয়ে যান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Avatar of author

Published

on

পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে এখনো সহায়ক পরিস্থিতি হয়নি এমন মন্তব্য করা দেশগুলোকে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

আজ সোমবার (২৯ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

জাতিসংঘ বলছে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে এখনো সহায়ক পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অনেকেই অনেক কিছু বলে। তারা নিয়ে যাক। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বর্গমাইলে মাত্র নব্বইজন লোক বাস করে, আমাদের এখানে তিন হাজার ৩০০ লোক থাকে। তাদের জায়গা ও সম্পদের অভাব নেই। তাদের লোক দরকার। তারা রোহিঙ্গাদের নিয়ে যায় না কেন? আমি সব দেশকে বলেছি রোহিঙ্গাদের নিয়ে যান। কানাডা বলল, তারা নেবে। তাদের প্রতিবর্গমাইলে পাঁচ-সাতজন থাকে, এখন পর্যন্ত মাত্র ৯ জন নিয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রও নেয়ার কথা বলে মাত্র ৬২ জন নিয়েছে। কোথায় বিশ না ত্রিশ হাজার করে প্রতি বছর নেবে, তারা ধারে কাছে নেই।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে পাইলট প্রকল্প কবে নাগাদ শুরু হবে-প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, তাও আমরা বলতে পারবো না। মিয়ানমার দু-দুবার তারিখ নির্ধারণ করেছে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে, কিন্তু তা কোনো কাজে আসেনি। আর এখনো আন্তরিকতা না থাকলে কাজ হয় না। ওদের মধ্যে আন্তরিকতার অভাব আছে, না হলে এতদিন শুরু হয়ে যেত।

চীন এ ক্ষেত্রে কী আশা দিয়েছে-জানতে চাইলে তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পর্ক ভালো। যে কারণে আমাদের পক্ষ হয়ে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছে চীন, আলাপ করছে। তারা বোঝে যে আমরা এগুলোকে বেশিদিন রাখতে পারবো না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে চীনের কাছ থেকে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে মিয়ানমারের দুটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছে, রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিরাও মিয়ানমারে গিয়েছে।

Advertisement

চীনা উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কী কোনো আশার কথা শুনিয়েছে প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এসব কিছু তারা সহজ করে দিচ্ছে, সহায়তা করছে। যে কারণে মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা এসে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছে। এটিকে বলে আত্মবিশ্বাস তৈরি, সেটা হচ্ছে। তাতেই অবশেষে হয়ত তারা যেতে শুরু করবে।

তবে কবে নাগাদ শুরু হতে পারে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিয়ানমার মুখে বলে তাদের নেবে, কিন্তু এখনো নেয়নি।

গতকাল বৈঠকে চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কী আলাপ হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি বছর দশেক আগেও বাংলাদেশে এসেছিলেন। এতদিন পর এসে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন দেখেছেন, সেই গল্পটিই বলেছেন। তখন এসে তিনি বাংলাদেশের এমন উন্নয়ন দেখেননি। তিনি পদ্মা সেতু দেখতে গিয়েছিলেন। কারণ তাদের ঠিকাদাররাই এটিতে কাজ করেছিলেন। সেটা এবং রাস্তাঘাট দেখে তার খুব পছন্দ হয়েছে। বললেন যে ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে এক অসম্ভবকে সম্ভব করেছে।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কথা বলতেই চীনা উপ-পরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন,রোহিঙ্গাদের ফেরত দেওয়ার জন্য আমরা বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ করছি। চীন-মিয়ানমার ও বাংলাদেশ মিলে ত্রিপক্ষীয় আলাপ করছি। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে চীনা উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমাদের বক্তব্য বলেছি। আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো। সম্প্রতি আরেকটি সমস্যা হচ্ছে, যারা রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল দিতেন, তারা টাকা পয়সা কমিয়ে দিয়েছে। অনেকে অনেক বেশি কমিয়ে দিয়েছে। যেমন, আগে যুক্তরাজ্য ১২৬ মিলিয়ন (১২ কোটি ৬০ লাখ) মার্কিন ডলার দিত, কিন্তু এ বছরে তারা ৫.৪ মিলিয়ন (৫৪ লাখ) ডলার দিয়েছে। আমাদের দেননি, জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারকে (ইউএনএইচআর) দিয়েছে।

এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, প্রতি বছর রোহিঙ্গাদের পেছনে ১.৯ বিলিয়ন (১৯০ কোটি) মার্কিন ডলার খরচ করতে হচ্ছে আমাদের। এছাড়াও অবকাঠামো বানাতে হয়েছে তাদের জন্য। সবমিলিয়ে আমরা চাই, তারা ফেরত যাক।

Advertisement

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষের চেয়ে পাঁচগুণ বেড়ে গেছে। তারা স্থানীয়দের চাকরি-বাকরি নিয়ে নিচ্ছে। কয়েকদিন পর স্থানীয় মানুষজন রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ক্ষেপে উঠবে। তাদের যেতে তো অনেকদিন লাগবে। আমরা বললাম, আপনাদের কাজে আমরা খুবই সুখি। তবে সবকিছু নির্ভর করবে, ফল কী আসে, তার ওপর।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

জাতীয়

এমপি আজিম কলকাতায় গিয়েছেন, এসে পড়বেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Published

on

আমাদের এনএসআই কাজ করছে। ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে। উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। তিনি পুরনো মানুষ, একজন সংসদ সদস্য, বুঝে শুনেই তো চলেন। পাশের দেশ ভারতে গেছেন। এমন তো না মায়ানমার গেছেন, যে মারামারি লেগেছে। আমার মনে হয় তিনি এসে পড়বেন বলে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রোববার (১৯ মে) গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। সংসদ সদস্য কলকাতায় গিয়েছেন, এসে পড়বেন।

এদিকে গত ৩ দিন ধরে এমপির সঙ্গে তার পরিবারের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আব্দুর রউফ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া ঘটনাটি তিনি আজ রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ে গিয়েও অভিহিত করেন।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আবু আজিফ গণমাধ্যমে জানান, আমরা মৌখিক ভাবে শুনেছি সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার চকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোন লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

ভারতে ‘নিখোঁজ’ এমপি আনারের সর্বশেষ অবস্থান জানালো ডিবি

Published

on

ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার ব্যবহৃত ভারতীয় নম্বরের সর্বশেষ অবস্থান মুজাফফরাবাদ অর্থাৎ উত্তর প্রদেশে। প্রতিনিয়ত ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এ বিষয়ে ভারতীয় পুলিশ যথেষ্ট সহযোগিতা করছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়ন্দা পুলিশ (ডিবি)।

রোববার (১৯ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

ডিবিপ্রধান বলেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার রোববার (১২ মে) দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে কলকাতা যান। কলকাতায় তার পরিচিত গোপাল নামে একজনের বাসায় ওঠেন। পরদিন ১৩ মে সকালে নাস্তা করে ওই বাসা থেকে বেরিয়ে যান। সেদিন সন্ধ্যায় কলকাতায় গোপালের বাসায় যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি আর যাননি।

তখন থেকেই তার মেয়ে ও এপিএস আনোয়ারুল আজিমের ব্যবহৃদ ভারতীয় নম্বরে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তারা যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন। তার হোয়াটসঅ্যাপে থেকে মেসেজ আসে, ‘তিনি দিল্লিতে আছেন, ওমুক-তমুকের সঙ্গে দেখা হবে।’ কিন্তু এই মেসেজগুলো তার পরিবার বিশ্বাস করছে না।

হারুন অর রশীদ বলেন, আমি বিষয়টি দুদিন আগেই জানতে পারি। ভারতীয় একজন ভদ্রলোক এমপিরও পরিচিত, তিনি আমাকে টেলিফোন করে তাকে না পাওয়ার বিষয়টি জানান। জানার পর ভারতীয় বিশেষ টাস্তফোর্স-এসটিএফ’র সঙ্গে যোগাযোগ করি। ভারতীয় থানা পুলিশসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেছি।

Advertisement

ডিবিপ্রধান বলেন,আনোয়ারুল আজিমের একটি বাংলাদেশি ও আরেকটি ভারতীয় নম্বর ছিল। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল ৭টার দিকে তার নম্বর থেকে দুটি কল আসে। একটি আসে তার এপিএসের নম্বরে, আরেকটি ফোনকল আসে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর নম্বরে। কিন্তু তখন দুজনের কেউই কল ধরতে পারেননি।

‘ভারতীয় পুলিশের সহযোগিতায় জানতে পেরেছি, আনোয়ারুল আজিমের ভারতীয় নম্বরের লোকেশন মুজাফফরাবাদ, অর্থাৎ উত্তর প্রদেশ। সবকিছু মিলিয়ে আমরাও খোঁজখবর রাখছি।’

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে আমাদের কাছে এসেছেন। আনোয়ারুল আজিম তার ব্যবহৃত নম্বরটি মাঝে মাঝে খুলছেন আবার মাঝে মাঝে বন্ধ করছেন। কারা কাজটি করছেন, তিনি কোনো ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়েছেন কি না- সবকিছুই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। জিকেএস

এএম/

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

অসুস্থ বাবাকে খুঁজে পেতে এমপি আনারের মেয়ে ডিবিতে

Published

on

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। তাই তার খোঁজ পেতে সংসদ সদস্যের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে এসেছেন।

রোববার (১৯ মে) বিকেলের দিকে তিনি মিন্টো রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে আসেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিবির এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমে বলেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার মেয়ে ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন। তার নিখোঁজের বিষয়টি অবহিত করতে।

এর আগে সংসদ সদস্যের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন গণমাধ্যমকে বলেন, গত দুই দিন ধরে বাবার সঙ্গে যোগাযোগ নেই। আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। সব উপায়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে জানানো হয়েছে। প্রয়োজন হলে আমার পরিবারের লোকজন কলকাতায় যাবে।

উল্লেখ্য, গেলো শনিবার (১১ মে) সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতের কলকাতায় যান বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

Advertisement

এএম/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত