রোগব্যাধি
ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলো ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে তিনজন মারা গেছেন।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ওই হাসপাতালের পরিচালক ডা. এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃতরা হলেন- ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার শেখ দলিল উদ্দিনের ছেলে শেখ ইসহাক (৭০), মাগুরার মোহাম্মদপুরের খোকন খানের স্ত্রী রুবিয়া বেগম (৬২) ও ফরিদপুর সদর উপজেলার আবুল কালামের স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৪১)।
ডা. এনামুল হক জানান, গেলো ১৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে মরিয়ম হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে মারা যান তিনি। শুক্রবার দুপুরে রুবিয়া ভর্তি হন ও রাতে মারা যান। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শেখ ইসহাক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে মারা যান।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, গেলো ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৬৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে ৮০২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮ হাজার ১৬৩ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৩০ জন। ইতোমধ্যে ৭ হাজার ৩৩১ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন।
রোগব্যাধি
ডেঙ্গুর উচ্চঝুঁকিতে ঢাকার ১৮ ওয়ার্ড
বৃষ্টি শুরুর আগেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে রাজধানীতে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপ অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১৮টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার লার্ভার ঘনত্বের পরিমাণ নির্দিষ্ট মানদণ্ডের চেয়েও বেশি।
মঙ্গলবার (২৮ মে) রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ‘মৌসুমপূর্ব এডিস সার্ভে ২০২৪’ এবং ‘মৌসুমপরবর্তী এডিস সার্ভে ২০২৩’ এর ফলাফল অবহিতকরণ সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার আওতাধীন জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অধীনে গেলো ১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত প্রাক-বর্ষা জরিপটি চালানো হয়।
জরিপের ফলাফলে বলা হয়, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৯৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টিতে ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর বেশি। এর অর্থ হচ্ছে, এসব এলাকার ১০০টির মধ্যে ২০টির বেশি পাত্রে এডিস মশা বা তার লার্ভা পাওয়া গেছে। এই এলাকাগুলো তাই ডেঙ্গুর উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ঝুঁকিতে থাকা ওয়ার্ডগুলো হলো– ১২, ১৩, ২০, ৩৬, ৩১, ৩২, ১৭ ও ৩৩নং ওয়ার্ড। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো হলো– ৪, ১৩, ৫২, ৫৪, ১৬, ৩, ৫, ১৫, ১৭ ও ২৩নং ওয়ার্ড।
উল্লেখ্য, এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের সূচক ‘ব্রুটো ইনডেক্স’ নামে পরিচিত। স্বীকৃত এই মানদণ্ডে লার্ভার ঘনত্ব ২০ শতাংশের বেশি হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলে মনে করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে ১২নং ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডে এডিসের ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ৪৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এরপরের অবস্থানে রয়েছে ১৩নং ও ২০নং ওয়ার্ড, এগুলোতে ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ৪০ শতাংশ। ৩৬নং ওয়ার্ডে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ৩১নং ও ৩২নং ওয়ার্ডে ৩০ শতাংশ, ১৭নং ও ৩৩নং ওয়ার্ডে ২৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে।
এছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ৭৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ, যা ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এছাড়া ৪নং ওয়ার্ডে ৪৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ, ৫২নং ও ৫৪নং ওয়ার্ডে ৩৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ, ১৬নং ওয়ার্ডে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে। আর ৩নং, ৫নং, ১৫নং, ১৭নং এবং ২৩নং ওয়ার্ডে ৩০ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি প্রতিবছর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মৌসুম পূর্ব, মৌসুম, মৌসুম পরবর্তী তিনটি জরিপ পরিচালনা করে আসছে। তারই অংশ হিসেবে অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার কীটতত্ত্ববিদদের ২১টি টিমের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
টিআর/
রোগব্যাধি
মস্তিষ্কে টিউমারের উপসর্গগুলি কী, কেন হয়?
মাথার যন্ত্রণা এখন ঘরে ঘরে, জনে জনে সমস্যা। কোনও আগাম পূর্বাভাস ছাড়াই হঠাৎ হঠাৎ এটি হানা দেয়। ওষুধ খাওয়ার পর অবশ্য ধীরে ধীরে ব্যথা মিলিয়েও যায়। দু’দিন যেতে না যেতেই ফের যন্ত্রণা ফিরে আসে। শুধু যে মাথাব্যথা, তা তো নয়। সঙ্গে বমি, চোখের সামনে অন্ধকার দেখার মতো লক্ষণও থাকে। সে ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া জরুরি বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। মস্তিষ্কে টিউমার হলে এমন হতে পারে।
তবে রোগ শনাক্ত করার জন্য আগে উপসর্গগুলি জানতে হবে।
উপসর্গগুলি কী?
১. এই অসুখের অন্যতম লক্ষণ তীব্র মাথার যন্ত্রণা। তবে টিউমার হলে মাথাব্যথার ধরনটা অন্য রকম হয়। এ ক্ষেত্রে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর তীব্র মাথার যন্ত্রণা করে।
২. জ্বর বা অন্য কোনও কারণ ছাড়া হঠাৎ হঠাৎ শরীরে কাঁপুনি শুরু হতে পারে। কিছুক্ষণ পর আপনা থেকেই কমে যায়। হজমের সমস্যা না থাকলেও হঠাৎ বমি পায়।
৩. খুব সাধারণ ও সাম্প্রতিক ঘটনার কথা বেমালুম ভুল হয়ে যাওয়াও রোগের একটি লক্ষণ। কিছুতেই মনে পড়ে না। সারা দিন ঘুম ঘুম ভাব থাকে, ঝিমুনি থাকে, আলস্য লাগে।
৪. মস্তিষ্কের কোন অংশে টিউমার হয়েছে, তার উপরেও কিছু কিছু লক্ষণ নির্ভর করে। যেমন, সেরিব্রামের টেম্পোরাল লোবে টিউমার হলে দেখতে অসুবিধে হয়। অন্যত্র হলে অন্য সমস্যা তৈরি হয়।
কেন হয় টিউমার?
নির্দিষ্ট কোনও কারণ নেই ব্রেন টিউমারের। সমীক্ষায় দেখা গেছে, মোবাইল ও ইয়ার ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বাড়ে। কিছু কিছু রাসায়ানিকের প্রভাবেও ক্যানসার-যুক্ত ব্রেন টিউমার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ডায়েটে উচ্চ মাত্রায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকা, ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতিও এই রোগ ডেকে আনতে পরে। এ ছাড়া, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে টিউমারের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
রোগব্যাধি
ওভারিয়ান ক্যানসারের লক্ষণ কি? নিজেকে সুস্থ রাখবেন যেভাবে
পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে ক্যানসারের প্রবণতা এখন অনেক বেশি বেড়ে গেছে। স্তন ক্যানসার, ব্লাড ক্যানসারের পাশাপাশি ওভারিয়ান (ডিম্বাশয়) ক্যানসারের প্রবণতা প্রবল আকারে বেড়ে গেছে মহিলাদের মধ্যে। তবে কিছু সচেতনতা এবং সাবধানতা বজায় রাখলে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে এই ক্যানসার থেকে।
ওভারিয়ান ক্যানসার কী?
ডিম্বাশয়ের ক্যানসার হল এমন একটি ক্যানসার, যা ডিম্বাশয় থেকে উৎপন্ন হয়ে খুব তাড়াতাড়ি সারা শরীরে ছড়িয়ে যায়। ডিম্বাশয়ে ডিম্বানুগুলি যখন অতিরিক্ত মাত্রায় বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, তখন টিস্যুগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ভাবেই ওভারিয়ান ক্যানসার হয়।
ওভারিয়ান ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ
এই ক্যানসারকে প্রথমে চিহ্নিত করা অসম্ভব কারণ কোনও উপসর্গ ছাড়াই এই ক্যানসার মহিলাদের শরীরে বাসা বাঁধে। তবে কিছু কিছু উপসর্গ এমন আছে যা দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার শরীরে ক্যানসার বাসা বেধেছে।
পেটে অতিরিক্ত ব্যথা এবং অস্বস্তি হলে, খিদে না পেলে, অল্প খাওয়ার পর পেট ভরে গেলে, ক্লান্তি, পিঠে ব্যথা, ঋতুচক্রের অনিয়ম, কোষ্ঠকাঠিন্য, ঘনঘন মূত্রত্যাগ, অতিরিক্ত পানি তেষ্টা, বদ হজম হলে বুঝতে হবে আপনার ওভারিয়ান ক্যানসার হতে পারে।
কেন হয় ডিম্বাশয় ক্যান্সার?
মূলত দুইভাবে ডিম্বাশয়ের ক্যানসার হতে পারে। প্রথমত, যদি পরিবারের কারোর ডিম্বাশয় ক্যানসার হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে আপনার এই ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। দ্বিতীয়তঃ শারীরিক সমস্যার কারণে ওভারিয়ান ক্যানসার হতে পারে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ঝুঁকি আরো বেশি বেড়ে যায়।
কীভাবে ডিম্বাশয় ক্যানসার নির্ণয় করবেন?
ডিম্বাশয়ে অস্বাভাবিক কিছু অনুভব করলে পেলভিক পরীক্ষা করতে পারেন। ডিম্বাশয়ের ছবি তোলার জন্য এমআরআই করতে পারেন। ডিম্বাশয় ক্যানসারের সঙ্গে যুক্ত কিছু প্রোটিন পরীক্ষা করে আপনি দেখতে পারেন আপনার শারীরিক কোনও সমস্যা হয়েছে কিনা।
ওভারিয়ান ক্যানসারের চিকিৎসা পদ্ধতি
ডিম্বাশয়, প্রজনন অঙ্গ অথবা প্রভাবিত এলাকা অস্ত্রপ্রচার করে বাদ দিয়ে দিতে হবে। ক্যানসার বৃদ্ধি আটকানোর জন্য হরমোন থেরাপি করতে হবে। প্রয়োজন হলে করতে হবে রেডিয়েশন থেরাপি। চিকিৎসা চলাকালীন চিকিৎসকের পরামর্শ মত চলতে হবে।
ডিম্বাশয় ক্যানসারের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাবেন কীভাবে
নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে। মেনোপজের পর হরমোন থেরাপি করলে হবে না। সুষম খাবার খেতে হবে। জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলতে হবে। এই কটি পদক্ষেপ মেনে চললেই ডিম্বাশয় ক্যানসারের প্রবণতা কমে যাবে অনেকটা।
জেএইচ
- বলিউড4 days ago
রাফা হামলার প্রতিবাদ করায় কটাক্ষের শিকার মাধুরী
- ঢালিউড4 days ago
উপস্থাপিকা মৌসুমী মৌর করা যৌতুক মামলায় স্বামীর জামিন
- বাংলাদেশ6 days ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
- ঢালিউড7 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
- বলিউড7 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
- বলিউড7 days ago
কপিল শর্মা শো’তে কাজ দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
- আবহাওয়া6 days ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
- ঢালিউড2 days ago
বিয়ের খবর লুকালো আমাকে আর ছেলেকে দিয়ে: পরীমণি