উত্তর আমেরিকা
যেসব গণমাধ্যম যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার শিকার
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2023/09/sanction.jpg)
দেশজুড়ে বাংলাদেশে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। আর এরইমধ্যে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বাংলাদেশের গণমাধ্যমেও বলে জানা যায়। কিন্তু কেন এই নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে তার কোনো কারণ এখনও জানা যায়নি।
গণমাধ্যমের কাজ মুক্ত মতপ্রকাশ করা। স্বাধীনভাবে সংবাদ মানুষের সামনে তুলে ধরা। এমন কাজে জড়িত প্রতিষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা দেয়া কি যায়? এ নিয়ে চলছে নানা প্রশ্ন। কোন অভিযোগে কিংবা কোন মতপ্রকাশের কারণে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসতে পারে তা নিয়েও চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
আগেও কয়েকটি গণমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে ৩ দেশের গণমাধ্যমকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিনীরা।
২০২২ সালে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান ব্রডকাস্টিংয়ের (আইআরআইবি) ছয় কর্মকর্তা আর সাংবাদিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন।
মাহসা আমিনির মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভে নিহতদের পরিবারকে হয়রানি এবং মৃত্যুর কারণ লুকানোর চেষ্টা করার জন্যই আসে এ নিষেধাজ্ঞা। এতে ওই ছয় কর্মকর্তার বিদেশে থাকা সম্পদ জব্দ করা হয়। সেই সঙ্গে ওই বছর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় ইরানের সংবাদমাধ্যম ফার্স ও তাসনিম নিউজ এজেন্সিকেও।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কিন্তু এখানেই শেষ হয়নি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরও মস্কোর শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় বাইডেন প্রশাসন। যার মধ্যে ছিল ক্রেমলিনভিত্তিক গণমাধ্যম চ্যানেল ওয়ান, রাশিয়া ওয়ান ও এনটিভি। এসব চ্যানেলে প্রতিবছর প্রায় ৩০ কোটি ডলারের বিজ্ঞাপন দিতো যুক্তরাষ্ট্র। পরে যা বন্ধ করে দেয়া হয়।
এছাড়াও ভুয়া সংবাদ প্রচারের অভিযোগে আরও বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
উত্তর আমেরিকা
যুক্তরাষ্ট্রে সুপারমার্কেটে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৩
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/যুক্তরাষ্ট্র.jpg)
যুক্তরাষ্ট্রের আর্কানসাস সুপারমার্কেটে এক বন্দুকধারীর গুলিতে তিনজন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার এ হামলা হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
আর্কানসাস রাজ্য পুলিশ পরিচালক মিকা হাগার জানান, আহতদের মধ্যে দুইজন পুলিশ সদস্য রয়েছে। বন্দুকধারীও পুলিশের পাল্টা গুলিতে আহত হয়েছে।
হাগার বলেন, পুলিশের গুলিকে বন্দুকধারী আহত হয়েছে, তাকে আদালতে নেয়া হয়েছে। তবে কী কারণে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে সে সম্পর্কে হাগার কিছু জানায়নি।
ফার্ডিসের মাড বাটচার সুপারশপে এ হামলার ঘটনা ঘটে। শহরটিতে ৩ হাজার ২০০ মানুষ বসবাস করে। এটি দক্ষিণ লিটল রক থেকে ৭০ কিলোটিমার দূরে অবস্থিত।
জেএইচ
উত্তর আমেরিকা
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতের আচরণে বিস্মিত
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/02/ডুজারিক-নতুন.jpg)
‘বিশ্বের সবচেয়ে নৈতিক সেনাবাহিনী ইসরায়েলের। গুতেরেস সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করেন এবং তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঘৃণা উসকে দেন’। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত গিলাদের এমন বক্তব্যে বিস্মিত হয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।
শনিবার (৭ জুন) জাতিসংঘ কার্যালয়ে এ কথা বলেন মহাসচিবের মুখপাত্র ডুজারিক।
ডুজারিক বলেন, তার ২৪ বছরের চাকরিজীবনে কোনো কূটনীতিককে এমন অপেশাদারি আচরণ করতে দেখেননি।
তিনি বলেন, সশস্ত্র সংঘাতে শিশুদের প্রতি আইন লঙ্ঘনকারী দেশগুলোর তালিকাসংবলিত একটি প্রতিবেদন আগামী ১৪ জুন নিরাপত্তা পরিষদের সভায় উপস্থাপন করা হবে। তালিকায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর নামও রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ তথ্য জানাতেই কাজের অংশ হিসেবে তাদের একজন কর্মকর্তা জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত গিলাদকে ফোন করেন। অথচ গিলাদ ওই ফোনকলের কথোপকথনের ভিডিও করেন এবং অংশবিশেষ এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশ করেন।
এদিকে জাতিসংঘের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রিয়াদ মালিকি এক বিবৃতিতে বলেছেন, অনেক বিলম্বে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গাজায় কোন ধরনের বিপর্যয় চলছে, তা বিশ্ব এখন খালি চোখেই দেখছে। সেখানে গণহত্যা চালানো হচ্ছে, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।
আই/এ
উত্তর আমেরিকা
বঙ্গোপসাগরে বিমান ঘাঁটি তৈরির চক্রান্ত নিয়ে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র
![ম্যাথিউ মিলার, যুক্তরাষ্ট্র](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2023/07/ম্যাথিউ-মিলার-যুক্তরাষ্ট্র.jpg)
বঙ্গোপসাগরে বিমান ঘাঁটি তৈরি এবং বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের অংশ নিয়ে একটি খ্রিস্টান দেশ বানানোর চক্রান্তের বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে যে অভিযোগ সামনে এসেছে তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়ে এসব তথ্য সঠিক নয়।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ জুন) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
তিনি জানান, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচারিক কর্মকাণ্ডের বিষয়টিও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে। ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এমনকি ড. ইউনূসকে হয়রানি এবং হুমকি প্রদর্শনের জন্য শ্রম আইনের অপব্যবহার হতে পারে বলেও যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে ম্যাথিউ মিলার।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক বঙ্গোপসাগরে ঘাঁটি বানাতে ‘শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তির’ প্রস্তাব এবং বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের একটি অংশ নিয়ে খ্রিষ্টান দেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে বলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চান।
ওই সাংবাদিক বলেন, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি দাবি করেছেন, একজন শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি তাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন— তিনি কোনো চাপ ছাড়াই ক্ষমতায় থাকতে পারবেন যদি তিনি একটি বিদেশি দেশকে বঙ্গোপসাগরে বিমানঘাঁটি স্থাপনের অনুমতি দেন।
ম্যাথিউ মিলার আরও উল্লেখ করেন, বঙ্গোপসাগরে ঘাঁটি বানিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের একটি অংশ নিয়ে পূর্ব তিমুরের মতো খ্রিস্টান দেশ বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে। শেখ হাসিনা কী এসব অভিযোগের তীর যুক্তরাষ্ট্রের দিকেই ছুঁড়ছেন? কারণ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন, আইনের শাসন এবং দুর্নীতি দমন নিয়ে অব্যাহতভাবে আহ্বান জানিয়ে আসছে?
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমি ঠিক নিশ্চিত নই যে এই মন্তব্যগুলো কাকে উদ্দেশ্য করে করা হয়েছে। কিন্তু যদি এসব কথা প্রকৃতপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে বলা হয়, তাহলে আমি শুধু বলব, এগুলো সঠিক নয়।
অপর এক প্রশ্নে ওই সাংবাদিক জানতে চান, নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে গত রোববার আদালত কক্ষের ভেতরে আসামিদের জন্য নির্ধারিত অন্ধকার ও লোহার খাঁচার মতো ঘেরে প্রবেশ করে করানো হয় এবং এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ড. ইউনূস বলেছেন, তিনি তার অভিশপ্ত জীবনের সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে রয়েছেন। একইভাবে, গণতন্ত্র, আইনের শাসনের অনুপস্থিতি এবং ব্যাপক দুর্নীতির কারণে লাখ লাখ বাংলাদেশি তাদের অভিশপ্ত জীবনের সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে রয়েছে। আমরা দেখেছি, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান ও পুলিশ প্রধানের ওপর কিছু নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। আপনি কি মনে করেন, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর সরকারকে জবাবদিহি করার জন্য এসব পদক্ষেপই যথেষ্ট, নাকি আপনি অতীতের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক-গণতন্ত্রপ্রেমী জনগণের সাথে সংহতি প্রদর্শনের জন্য আরও পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বিবেচনা করবেন?
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার অগ্রগতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ড. ইউনূসকে হয়রানি এবং হুমকি প্রদর্শনের জন্য শ্রম আইনের অপব্যবহার হতে পারে এমন শঙ্কায় আমরা আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা আরও উদ্বিগ্ন, শ্রম এবং দুর্নীতিবিরোধী আইনের এই ধরনের অপব্যবহার আইনের শাসন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে এবং সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগে বাধা আসতে পারে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, বিচার প্রক্রিয়া চলতে থাকায় আমরা বাংলাদেশ সরকারকে ড. ইউনূসের বিষয়ে ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে উৎসাহিত করতে থাকব, কিন্তু (নিষেধাজ্ঞা বা বিধিনিষেধ) আরোপ নিয়ে আগাম বলার মতো কোনও তথ্য আমার কাছে নেই।
টিআর/
- বলিউড6 days ago
জাহিরকে বিয়ে করার মাসুল গুনছেন সোনাক্ষী!
- বাংলাদেশ7 days ago
ভাইরাল ছবি নিয়ে মুখ খুললেন সেই এনবিআর কর্মকর্তা
- আন্তর্জাতিক7 days ago
এবার বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বিকল্প রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করবে ভারত
- বাংলাদেশ2 days ago
টাক মাথায় দেশ ছাড়ার গুঞ্জন ছাগলকাণ্ডের মতিউরের
- বাংলাদেশ5 days ago
রাজস্ব কর্মকর্তার ছেলের ছাগলকাণ্ড নিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বক্তব্য
- টুকিটাকি3 days ago
নারী সহকর্মীর সঙ্গে হোটেলে ধরা, পুলিশের ডিএসপি থেকে কনস্টেবলে পদাবনতি
- বাংলাদেশ3 days ago
জমিকাণ্ডে আলোচিত ডিআইজি জামিলকে বদলি
- অপরাধ24 hours ago
পরীমণির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে বাধ্যতামূলক অবসরে সেই পুলিশ কর্মকর্তা