শিক্ষা
মধ্যরাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হলে তল্লাশি
ছাত্রলীগের দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষের জেরে বৃহস্পতিবার (১ জুন) মধ্যরাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দুই হলে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি লাঠি, লোহার রড, স্টাম্প ও হকিস্টিক উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শাহজালাল হল এবং শাহ আমানত হলে ঘণ্টাব্যাপী চলে এ তল্লাশি। অভিযান চলাকালে প্রক্টরিয়াল বডি ছাড়াও হল প্রশাসন ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে আমানত ও শাহজালাল হলে অবস্থানরত শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ সিক্সটি নাইন ও সিএফসি সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় তারা চাপাতি, হকিস্টিক ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হয়।
গত বুধবার (৩১ মে) রাত সোয়া ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা হোটেলে খাবার খেতে গিয়ে দুই পক্ষের দুই কর্মীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনার জেরে সেদিন রাতেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সিএফসির কর্মীরা শাহ আমানত হল ও সিক্সটি নাইনের কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। আহত হন চবি পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ মিজানুর রহমান। প্রায় দেড় ঘণ্টা সংঘর্ষের পর রাত পৌনে ১২টার দিকে প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও দুই পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে পুনরায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজীম শিকদারও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এ সময় প্রক্টর ও পুলিশের সামনেই উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের রামদা, কিরিচ, রড, লাঠিসোঁটাসহ নানা দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিতে দেখা গেছে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খান প্রক্টরিয়াল বডিও। পরবর্তীতে র্যাব ও পুলিশের বিশেষ ফোর্স ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অরুপ বড়ুয়া বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আমরা তল্লাশি চালিয়েছি। এ সময় কাউকে আটক করা হয়নি। আমরা কিছু রড ও স্টাম্প পেয়েছি।
শিক্ষা
এসএসসিতে দুই বিষয়ে ফেল করেও ভর্তি হওয়া যাবে কলেজে
নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনছে সরকার। নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২০২৬ সাল থেকে। আর ২০২৭ সাল থেকে শুরু হবে একাদশ শ্রেণিতে। নতুন পদ্ধতিতে কোনো শিক্ষার্থী যদি এসএসসিতে এক বা দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হয়, সে চাইলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে। তবে পরের দুই বছরের মধ্যে তাকে পাবলিক মূল্যায়নে অংশ নিয়ে বিষয়গুলোতে কৃতকার্য হতে হবে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) তৈরি করা ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২-এর মূল্যায়ন কৌশল ও বাস্তবায়ন নির্দেশনা’ সংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিভিশন কোর কমিটিতে পাস হয়েছে প্রতিবেদনটি। তবে এনসিটিবি হয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভায় এটি চূড়ান্ত হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, একাদশে ভর্তি হয়েও মান উন্নয়নের জন্য এক বা একাধিক অথবা সব বিষয়ে পুনরায় পাবলিক মূল্যায়নে (এসএসসি) অংশ নেয়ার সুযোগ থাকছে। অনন্য, অর্জনমুখী, অগ্রগামী, সক্রিয়, অনুসন্ধানী, বিকাশমান ও প্রারম্ভিক– শীর্ষক ৭টি সূচকের ভিত্তিতে প্রকাশ করা হবে শিক্ষার্থীর রিপোর্ট কার্ড। এতে সব বিষয়ে পারদর্শিতা বা সর্বোচ্চ সূচক অনন্য, আর সর্বনিম্ন সূচক হলো প্রারম্ভিক।
কারিকুলাম পর্যালোচনা কোর কমিটির একজন সদস্য গণমাধ্যমকে জানান, বর্তমানে একজন শিক্ষার্থী এসএসসিতে এক বা দুই বিষয়ে ফেল করলে তার শুধু ওই দুই বিষয়ে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায় না। নতুন কারিকুলামে কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগের বিধান রাখা হয়েছে। একসঙ্গে সে একাদশে ক্লাস চালাবে এবং অনুত্তীর্ণ বিষয়ের পরীক্ষা দেবে। শুধু তাই নয়, সে পরের দুই বছর এ পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাবে। এ ছাড়া একাদশে ভর্তি হয়েও মানোন্নয়নের জন্য এক বা একাধিক বা সব বিষয়ে পুনরায় পাবলিক মূল্যায়নে (এসএসসি) অংশ নেয়ার সুযোগ থাকছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার বলেন, যেকোনো কারণে একজন শিক্ষার্থী এক বা দুই বিষয়ে খারাপ ফল করতেই পারে। সেজন্য তার পরবর্তী স্তর আটকে থাকতে পারে না। কোর কমিটির এ সিদ্ধান্ত খুবই ভালো উদ্যোগ। এতে শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে একটি বছর হারিয়ে যাবে না।
এ বিষয়ে এনসিটিবির সদস্য (কারিকুলাম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, বর্তমানে এসএসসিতে এক বা দুই বিষয়ে ফেল করলে শুধু সেই বিষয়ে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ থাকলেও কলেজে ভর্তি হতে পারে না। এতে শিক্ষার্থীর জীবন থেকে এক বা একাধিক বছর চলে যায়। নতুন কারিকুলামে কেউ এক বা দুই বিষয়ে অনুত্তীর্ণ হলে সে একাদশে ভর্তি হয়ে ওই সব বিষয়ে ফের পরীক্ষা দেবে। এতে তার দুটি কাজ একসঙ্গে চলবে। কোর কমিটিতে এসব প্রস্তাব পাস হয়েছে। এখন এনসিসিসি সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। সেখানে চূড়ান্ত হলে সবাইকে তা জানিয়ে দেয়া হবে।
২০২৩ সালে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। আর চলতি বছর বাস্তবায়ন করা হয় দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। এরপর ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এই শিক্ষাক্রম চালু হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে এসএসসি পরীক্ষা হলেও এর নাম অপরিবর্তিত থাকবে।
জাতীয়
ভিকারুননিসার ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের রায় আপিলে বহাল
রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে করা পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার(২৬ মে) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
আদালতে শিক্ষার্থীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান ও অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। এর আগে, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়।
গত ২১ মে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিল থাকবে বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে প্রথম শ্রেণির ভর্তিতে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন আদালত। ওই কমিটিতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের একজন প্রতিনিধি ও বুয়েটের একজন আইটি এক্সপার্টকে রাখতে বলা হয়।
পাশাপাশি অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে প্রথম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে নির্দেশ দেন আদালত। এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালত বলেন, ১৬৯ শিশুর ভর্তি নিয়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এক্ষেত্রে অভিভাবকরাও দায় এড়াতে পারেন না।
ভিকারুননিসায় ভর্তি নিয়ে বয়সের নিয়ম না মানার অভিযোগ এনে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি ইচ্ছুক দুই শিক্ষার্থীর মা গত ১৪ জানুয়ারি রিট করেন।
এমআর//
শিক্ষা
স্কুল বন্ধ থাকা নিয়ে যা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
দুর্যোগকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা বা বন্ধ রাখার বিষয়ে স্ব স্ব জেলাগুলো নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে। বললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
রোববার (২৬ মে) শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২০২৩-২৪ অর্থ-বছরের সংশোধিত এডিপি বাস্তবায়ন এবং চলমান উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি ও মূল্যায়ন বিষয়ক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসডিজি-৪ এর লক্ষ্য শতভাগ শিক্ষার্থীকে মাধ্যমিক পর্যায়ে নিয়ে আসা। ভবনের নির্মাণ, ক্লাসরুমের ডিজাইন, ফার্নিচারের ডিজাইনে পরিবর্তন আনাও একই সঙ্গে প্রাসঙ্গিক।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যেও চিন্তার পরিবর্তন করতে হবে। তাদের মাঠে নিয়ে আসতে হবে। প্রকৌশলীরা তাদের মনোজাগতিক পরিবর্তন আনতে পারে। প্রতিটি সাইটই শিক্ষার সাইট। মাদ্রাসা, অধিদপ্তর কিংবা বিদ্যালয়ের বিল্ডিং হোক সবখানেই প্রকৌশলীরা আছেন। আমরা দাপ্তরিক কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছি। আমাদের দেশে ইনোভেশন হচ্ছে না, কারণ প্রকৌশলীরাও অফিসে বসে কাজ করছে।
তিনি বলেন, শিক্ষা প্রকৌশলের ইঞ্জিনিয়াররাই পরিমিত ব্যয়ের মাধ্যমে ভবন নির্মাণ করে গবেষণায় বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়তা করতে পারেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার। এতে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।
কেএস/
- টুকিটাকি7 days ago
কাউন্সিলিংয়ের নামে ছাত্রকে ৩০ বার ধর্ষণ
- বাংলাদেশ2 days ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
- বলিউড3 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
- ঢালিউড3 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
- জাতীয়5 days ago
পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার আসছে নতুনরূপে
- অপরাধ5 days ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
- আবহাওয়া2 days ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
- বাংলাদেশ7 days ago
এমপি আজিম হত্যা: ট্যাক্সি চালককে আটক করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন